বাধা: বিজেপি কর্মীকে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
বিহার ভোটের ফল ঘোষণার মাঝপথেই শিলিগুড়িতে বিজেপির ‘বিজয় মিছিল’ ডেকে আনল বিতর্ক। বিনা অনুমতিতে মিছিল এবং জমায়েতের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতাদের। সেই নেতাদের আবার পাল্টা অভিযোগ, পুলিশ লাড্ডু কেড়ে নেয় তাঁদের কাছ থেকে। তেমনই গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর বিজেপি নেতাদের চেঁচামেচির মোকাবিলায় মাইক ভাড়া করে এনে করোনা-বিরোধী গানচালিয়ে দেয় পুলিশও। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ১৮ জন নেতা-কর্মী।
বিহারে ভোট গণনা তখনও মাঝপথে। বিজেপি জোট শিবির কয়েকটি আসনে এগিয়ে। তার মধ্যে সন্ধ্যায় হিলকার্ট রোডে নেমে পড়ে বিজেপির বিজয় মিছিল। হাসমিচকে বিজেপির জেলা কার্যালয় থেকে রাস্তায় নেমে লাড্ডু বিলি করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিচ্ছিলেন কর্মীরা। বিজেপির অভিযোগ, সেই সময় পুলিশ গিয়ে তাঁদের লাড্ডুর প্যাকেট কেড়ে নেয়। পরে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। থানার ভিতরে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত অফিসার এবং আইসির চেম্বারের সামনে ধর্নায় বসেও স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি নেতারা। তখনই পুলিশ প্রয়োগ করে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। থানার ভিতরে প্রবল চেঁচামেচির মোকাবিলায় মাইক ভাড়া করে এনে বাজানো হয়: ‘জব্দ কর, জব্দ কর/ করোনাকে ভয় পেও না’। বাইরে জড়ো হয়ে তখনও বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কয়েকজন নেতা।
পুলিশ সূত্রে দাবি, বিনা অনুমতিতে মিছিল করার চেষ্টা এবং বেআইনিভাবে জমায়েত করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। যদিও লাড্ডুর প্যাকেট কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। পুলিশকর্তাদের দাবি, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের আজ, বুধবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলার কথা। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রাজু সাহার দাবি, বিহার ভোটে দল সরকার গঠনের দোরগোড়ায়। তাই তাঁরা লাড্ডু বিলি করছিলেন। কিন্তু পুলিশ ‘অন্যায়ভাবে’ সেই লাড্ডু কেড়ে নিয়েছে, অভিযোগ। কর্মীদের ছাড়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুমকি দেন তাঁরা। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে যেতে দেখে পুলিশ দিয়ে বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘বিহার ফলাফলের প্রভাব এ রাজ্যে পড়বে।’’
বিহারের ফলকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। রাজ্যের নেতাদের মুখেও এ দিন সে কথা শোনা গিয়েছে। শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি এবং খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া বিধানসভার একাংশ বিহার সংলগ্ন। ফলে বিহারের ফলের প্রভাব সেই এলাকাগুলিতে পড়বে বলে দাবি তাঁদের। তাঁদের বক্তব্য, বিধানসভার মন্ডলগুলিতেও আলাদা বিজয় মিছিল হবে।