প্রমোদ দাশগুপ্ত।
দলে এবং বাম রাজনীতিতে একই সঙ্গে উচ্চারিত হয় দু’জনের নাম। কিন্তু এ বার এক যাত্রায় পৃথক ফল! বিশেষ পরিস্থিতিতে জ্যোতি বসুর জন্য যে ব্যবস্থা হল, তা হচ্ছে না প্রমোদ দাশগুপ্তের জন্য।
অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙে সিপিএমের জন্মলগ্ন থেকে আমৃত্যু বাংলায় সেই দলের রাজ্য সম্পাদক ছিলেন প্রমোদবাবু। তিনি ১৮ বছর দলের সম্পাদক থাকাকালীনই দু’বার যুক্তফ্রন্ট এবং দু’টো বামফ্রন্ট সরকার তৈরি হয়েছে। বামফ্রন্ট তৈরির পরে প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন তিনিই। দলে ও সংগঠনে তাঁর অবদান মনে রেখে প্রতি বছর ১৩ জুলাই আয়োজন হয় প্রমোদ দাশগুপ্ত স্মারক বক্তৃতার। তাঁকে স্মরণ করার উপলক্ষে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপরে বার্তা দেন বক্তারা। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, প্রকাশ কারাট, সূর্যকান্ত মিশ্র, সীতারাম ইয়েচুরি থেকে প্রভাত পট্টনায়ক— বিভিন্ন বছরে নানা ব্যক্তিত্ব স্মারক বক্তৃতা করেছেন। প্রমোদ-স্মরণের প্রথায় ছেদ পড়তে চলেছে এ বার। করোনা আবহে প্রথাগত সভা করা সম্ভব নয়। কিন্তু আজ, সোমবার ‘ভার্চুয়াল’ কোনও স্মারক বক্তৃতাও হচ্ছে না। কয়েক দিন আগেই জ্যোতিবাবুর জন্মদিনে ভার্চুয়াল বক্তৃতা করেছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ইয়েচুরি।
সিপিএম অবশ্য চেষ্টা করছে দু’দিন পরের অন্য একটি কর্মসূচিকে প্রমোদ-স্মরণে নামাঙ্কিত করার। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘কলকাতা জেলা সিপিএম অনুষ্ঠানটা করে। এ বার অনিবার্য কারণে হচ্ছে না। ওরা ১৫ তারিখ একটা সভা করবে।’’ কলকাতা জেলা সিপিএম সূত্রের খবর, আজকের জন্য কোনও বক্তার ব্যবস্থা রবিবার রাত পর্যন্ত করে ওঠা যায়নি। প্রতি এরিয়া কমিটি থেকে মাথাগুনতি করা কিছু প্রতিনিধিকে নিয়ে বুধবার একটি সাধারণ সভা হওয়ার কথা। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সেখানে বক্তা। প্রমোদবাবুর স্মরণে সেই সভাকেই সামাজিক মাধ্যমে ‘লাইভ’ করে দেওয়া হতে পারে।