নবান্ন বনাম রাজভবনের টানাপড়েনেই কি রাজ্যের সেরা দুই বিশ্ববিদ্যালয় কিছুটা ধাক্কা খেল? সোমবার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক ২০২৪’ তালিকা প্রকাশের পরে শিক্ষাজগতের একাংশে এই ধারণাই জোরালো হচ্ছে।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে যাদবপুর চতুর্থ থেকে নেমে নবম। কলকাতা দ্বাদশ থেকে নেমে অষ্টাদশে। প্রেসিডেন্সি প্রথম একশোয় নেই। সার্বিক ভাবেও যাদবপুর ১৩ থেকে নেমে ১৭-য়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ২৩ থেকে নেমে ২৬। গত বার প্রথম ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে থাকা বর্ধমানও ছিটকে গিয়েছে। সার্বিক ভাবে দেশে প্রথম আইআইটি মাদ্রাজ।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে নানা ক্ষেত্রে খবরদারি করেছেন বলেই কলকাতা, যাদবপুরের র্যাঙ্ক নেমেছে।’’ কলকাতার অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলছেন, “রাজ্য সরকারের অসহযোগিতা চলছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্যের অভাবও প্রভাব ফেলেছে।” যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের কথায়, “গত এক বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল অবস্থার নিরিখে ফল ভাল।”
প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় যাদবপুর দ্বিতীয়, কলকাতা চতুর্থ। ৩৬ নম্বরে বর্ধমান। কলেজগুলির মধ্যে রহড়া রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ শতবার্ষিকী কলেজ তৃতীয়। সার্বিক ভাবে প্রথম ১০০-য় যাদবপুর, কলকাতা, আইআইটি খড়গপুর (৬), আইআইএসইআর (৬১), আইএসআই (৭৫) এবং এনআইটি দুর্গাপুর (৯৩)। আইআইইএসটি, শিবপুর প্রথম ১০০-য় নেই। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যাদবপুর দ্বাদশ, পঞ্চম আইআইটি খড়গপুর, এনআইটি দুর্গাপুর ৪৪, আইআইইএসটি, শিবপুর ৪৯। কলেজ বিভাগে দেশে তৃতীয় রহড়া, কলকাতার সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজ ষষ্ঠ, রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির, বেলুড় ১৭, রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক কলেজ, নরেন্দ্রপুর ২৪, মেদিনীপুর কলেজ ৩২, স্কটিশ চার্চ কলেজ ৮৮, বেথুন কলেজ ৯১ নম্বরে। ডাক্তারি শিক্ষায় আইপিজিএমইআর (পিজি) ২২, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ৪৪ নম্বরে। ম্যানেজমেন্টে আইআইএম কলকাতা ৫, আইআইটি খড়্গপুর ১৯ নম্বরে।