গরুর গাড়িতে চড়ে প্রতিবাদে শামিল চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।
পেট্রল, ডিজেল-সহ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গরুরগাড়ি, পালকি চড়ে অভিনব প্রতিবাদ জানাল তৃণমূল। মঙ্গলবার চুঁচুড়ায় ওই প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হয়েছিলেন পুরপ্রশাসক থেকে শুরু করে হুগলি জেলার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ছাড়াও স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদারও। তবে প্রতিবাদের পন্থা অভিনব হলেও সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে কী ভাবে এই কর্মসূচি পালিত হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
মঙ্গলবার চুঁচুড়ার খাদিনামোড়ে পেট্রলপাম্পের সামনে গরুর গাড়ি, পালকি নিয়ে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল হয়। পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন, রান্নার গ্যাস-সহ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ মিছিলে প্ল্যাকার্ড হাতে জমায়েত হয়েছিলেন তৃণমূলের বহু কর্মী-সমর্থক। উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়া পুরসভার পুরপ্রশাসক গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান অমিত রায়, হুগলি জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসুমী বসু চট্টোপাধ্যায়-সহ সব ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর এবং পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধানরা। দলীয় পতাকা এবং প্ল্যাকার্ড নিয়ে গরুর গাড়ির উপরে দাঁড়িয়েছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত স্বয়ং। তিনি বলেন, ‘‘তেলের দাম যে ভাবে বাড়ছে, তাতে কিছুদিনেই তা লিটারে ১০০ টাকা হবে। তখন সাধারণ মানুষের পক্ষে আর গাড়িঘোড়া চ়ড়া সম্ভব হবে না। তাই যানবাহন হিসেবে গরুর গাড়ি আর পালকিই ফিরিয়ে আনতে হবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার তেলের দাম বাড়াচ্ছে আর রাজ্যকে করোনার ভ্যাকসিন না দিয়ে মানুষ মারছে। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জেরে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেই এর জবাব পাবেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা।’’
প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণ রুখতে সমস্ত রাজনৈতিক জমায়েত বা কর্মসূচির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। সেই বিধিনিষেধ চলাকালীন বিধিনিষেধ অমান্য করায় প্রশ্নের মুখে শাসকদলেরই নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা।