Coronavirus

জাতীয় গড়ের তুলনায় বেকারত্ব কম রাজ্যে

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি (সিএমআইই)-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, জুন মাসে এ রাজ্যে বেকারত্বের হার হয়েছে ৬.৫ শতাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২০ ০৬:১২
Share:

প্রতীকী ছবি।

দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেকারত্বের হার এ রাজ্যে অনেক কম বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আরও দাবি, কোভিড এবং আমপান-বিপর্যয় থাকলেও ইতিবাচক এবং বলিষ্ঠ আর্থিক নীতির কারণেই বেকারত্ব কমেছে পশ্চিমবঙ্গে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিরোধীদের তরফে লাগাতার সমালোচনার মধ্যে এই রিপোর্ট রাজ্যকে কিছুটা স্বস্তি দিল বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকে।

Advertisement

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি (সিএমআইই)-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, জুন মাসে এ রাজ্যে বেকারত্বের হার হয়েছে ৬.৫ শতাংশ। যেখানে উত্তরপ্রদেশে এই হার ৯.৬ শতাংশ এবং হরিয়ানায় তা ৩৩.৬ শতাংশ। দেশের বেকারত্ব-হার ১১ শতাংশ। গত মে মাসে সেই হার ছিল ২৩.৫ শতাংশ।

লকডাউন পর্ব থেকেই রাজ্যে কর্মদিবস তৈরি হওয়ার দাবি করে আসছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের যুক্তি, আর্থিক গতিবিধি বন্ধ থাকলেও পরিকল্পিত ভাবে কোভিড পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পিপিই, মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার ইত্যাদি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের মাধ্যমে তৈরি করানো হচ্ছে। লকডাউন-নিয়ন্ত্রণ শিথিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একশো দিনের কাজ-সহ একাধিক প্রকল্প শুরু হয়েছে। কাজ পেয়েছেন বহু মানুষ। রাজ্যের দাবি, বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফেরাতে প্রাথমিক ভাবে চাপ তৈরি হয়েছিল সরকারের উপর। কারণ, রাজ্যে ফেরা প্রত্যেক পরিযায়ী কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের মুখাপেক্ষী ছিলেন। পরিযায়ীদের কর্মদক্ষতা অনুযায়ী জেলাভিত্তিক তথ্যভাণ্ডার তৈরির নির্দেশ দেয় নবান্ন। একশো দিনের কাজ, সড়ক-ভবন-পরিকাঠামো নির্মাণ, কৃষিকাজে তাঁদের কাজে লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, কর্মদক্ষতার নিরিখে পরিযায়ীদের তথ্যভাণ্ডার থাকার কারণে শিল্প গোষ্ঠীগুলির সঙ্গেও আলোচনার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য।

Advertisement

তবে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি সরকারের। পরিযায়ীদের নিয়ে পরিকল্পনা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলির সুবিধা নেওয়ার প্রশ্নে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রের সমালোচনা শুনতে হয়েছে। সেই সব সমালোচনার জবাব হিসেবে সিএমআইই-এর বেকারত্ব রিপোর্টকে হাতিয়ার করতে চাইছে রাজ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement