ফাইল ছবি
কর্মনিয়োগ কেন্দ্রের ‘পরিচারিকা’ প্রশিক্ষণ শিবিরে হাজির স্নাতক, স্নাতকোত্তরের ছাত্রীরা। মালদহের যুব আবাসে বৃহস্পতিবার দুপুরের ছবি। কাজের আশায় শিবিরে এসেছেন, জানান স্নাতকোত্তরের কুনজেলা খাতুন, স্নাতকের ঝর্না ঘোষ, জামিলা আকতারিরা। কর্মনিয়োগ কেন্দ্রের মালদহ জেলা আধিকারিক সৌমিত রায় জানান, অনেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়ালেও তা কেন্দ্রে নথিভুক্ত করেননি। তার ফলে তাঁরাও শিবিরে ডাক পেয়েছেন।
মালদহে কর্মনিয়োগ কেন্দ্রের (এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ) উদ্যোগে পরিচারিকাদের তিন দিনের প্রশিক্ষণ শিবির শেষ হল বৃহস্পতিবার। শিবিরে যোগ দেন ৪০ জন তরুণী। নথিভুক্তদেরই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম থেকে দশম শ্রেণি। হেল্থ কেয়ার, শিশু ও বয়স্কদের দেখভাল, প্রাথমিক চিকিৎসা, আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে কাপড় কাচা, ঘর সাফাই শেখানো হয়। অংশগ্রহণকারীদের শংসাপত্র, ৭৫০ টাকা করে সাম্মানিক ভাতা, ব্যাগ, ছাতার মতো উপহারও দেওয়া হয়।
শেষ দিনের প্রশিক্ষণে হাজির যুবতীদের সিংহভাগই স্নাতক। দূরশিক্ষায় শিক্ষাবিজ্ঞানের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ছাত্রী কালিয়াচকের কুনজেলা খাতুন বলেন, “সরকারি চাকরির দিশা নেই। তাই পরিচারিকার প্রশিক্ষণও নিয়ে রাখছি। কাজ না করলেও বাড়িতে তা প্রয়োগ করতে পারব।” ইংরেজবাজারের আড়াপুরের ঝর্না ঘোষ বলেন, “স্নাতক হয়ে বসে আছি। কর্মসংস্থানের আশায় প্রশিক্ষণ নিতে এসেছি।”
বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মুর বক্তব্য, “তৃণমূল আমলে রাজ্যে চাকরি নেই। তাই বেকার শিক্ষিত যুবতীদের পরিচারিকার প্রশিক্ষণ নিতে হচ্ছে।” তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, “ক’টা চাকরি কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে, সাংসদ আগে তা জানান।’’