র্যাগিং রুখতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছাত্রাবাসে বিপদঘন্টি ও ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ভর্তির পালা শেষে এ বার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হচ্ছে। র্যাগিং রুখতে এ বারও কড়া নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি। অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটি থেকে শুরু করে নিয়মিত ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশের পাশাপাশি ইউজিসি সচিব যশপাল সিংহ সঁধুর দেওয়া নির্দেশে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ও বিপদঘন্টি লাগানোর কথাও বলা হয়েছে।
অতীতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও শিবপুর আইআইইএসটিতে বারবারই র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা শাস্তির মুখেও পড়েছে। তবে এই দুই প্রতিষ্ঠানে এখনও র্যাগিং রুখতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা অথবা বিপদঘন্টি লাগানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, যাদবপুরের পূর্বতন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নিলেও সে সময় পড়ুয়াদের আপত্তিতে তা বেশি দিন লাগিয়ে রাখা যায়নি। যাদবপুর কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে আর উদ্যোগ নেননি। র্যাগিং রুখতে বিপদঘন্টিও ব্যবস্থাও নেই যাদবপুরে। রেজিস্ট্রার প্রদীপকুমার ঘোষের দাবি, র্যাগিংয়ের ঘটনা ক্যাম্পাসে এখন প্রায় ঘটেই না। তবুও ইউজিসির নির্দেশ কী ভাবে মানা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। আইআইইএসটিতে রয়েছে প্রায় ১৭টি ছাত্রাবাস। তার মধ্যে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রদের হস্টেলে শুধু ক্লোজড সার্কিট ক্যমেরা রয়েছে। অধিকর্তা অজয় রায় বলেন, ‘‘হালে র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে না। তবু ইউজিসির নির্দেশ নিয়ে আমরা আলোচনা করব।’’
র্যাগিং করলে এখন কড়া শাস্তির বিধান রয়েছে। ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার, ছাত্রবৃত্তি বন্ধ করা, পরীক্ষায় বসতে না দেওয়া, ফল প্রকাশ স্থগিত রাখা, ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা, চারটি সেমেস্টার পর্যন্ত বহিষ্কার, অন্য প্রতিষ্ঠানেও ভর্তি হতে না দেওয়ার মতো শাস্তির মুখে পড়তে পারেন পড়ুয়ারা। এ বার র্যাগিং-মুক্ত ক্যম্পাসের জন্য ক্লাস শুরু হওয়ার মুখেই নির্দেশ দিল ইউজিসি।