নতুন এই পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ুর মতো বেশ কিছু রাজ্য-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আপত্তি ও বিতর্কের মধ্যে ইউজিসি আশ্বাস দিচ্ছে, অভিন্ন প্রবেশিকা চালু করার আগে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে।
সারা দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা চালু করার কেন্দ্রীয় উদ্যোগকে ঘিরে ইতিমধ্যেই বিস্তর বিতর্ক ছড়িয়েছে। এই আবহে ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান মামাদিলা জগদেশ কুমার জানিয়েছেন, এই ব্যবস্থা চালু করার আগে অন্তত দু’বছর সময় দেওয়া হবে পড়ুয়াদের। যার অর্থ, যে-বার এই ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে, সেই বছর দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের এই অভিন্ন পরীক্ষা দিতে হবে না। তখন যারা দশম শ্রেণিতে থাকবে, তারা তার দু’বছর পরে এই পরীক্ষা দেবে। চেয়ারম্যানের আশ্বাস, এক ও অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে পড়ুয়ারা পর্যাপ্ত সময় পাবে। কমপক্ষে দু’বছর সময় দেওয়া হবে, যাতে দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা পর্যাপ্ত প্রস্তুতির ভিত্তিতে দ্বাদশ শ্রেণিতে গিয়ে এই পরীক্ষা দিতে পারে।
নতুন এই পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। দেশের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা (সিইউইটি) চলতি বছরেই চালু হয়ে গিয়েছে। এখন ডাক্তারি পড়ার জন্য সর্বভারতীয় নিট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন) পরীক্ষা দিতে হয়। এ বার এই তিনটি পরীক্ষা মিলিয়ে একটি পরীক্ষার কথা ভাবা হচ্ছে। তিনটি তিন ধরনের পাঠ্যক্রমের জন্য একটি অভিন্ন প্রবেশিকার ভিত্তিতে কী ভাবে পড়ুয়া বাছাই করা যেতে পারে, বিতর্ক বেধেছে মূলত সেই প্রশ্নেই।
শিক্ষা শিবিরের একাংশের মতে, সাধারণ ডিগ্রি পাঠ্যক্রম পড়ার জন্য যে-পরীক্ষা নেওয়া হয়, তার প্রশ্নের থেকে নিট বা জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন) পরীক্ষার প্রশ্ন অনেকটাই আলাদা। ফলে সামগ্রিক ভাবে অভিন্ন পরীক্ষা নিলে পড়ুয়াদের মেধা যথাযথ ভাবে যাচাই করা যাবে না। অনেকের বক্তব্য, সে-ক্ষেত্রে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষারফল দিয়েই ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি নেওয়া হোক। নতুন করে পরীক্ষার কী প্রয়োজন!