অভিষেকের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনে উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী।
চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখে মালবাজারের চা বাগানে গিয়ে এক ঝাঁক প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সেই প্রতিশ্রুতি পালনে উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। প্রথম জন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক ও দ্বিতীয় জন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়। ওই দিনের জনসভা থেকে অভিষেক উত্তরবঙ্গের চা বাগানে কর্মরত তিন লক্ষ ৮৩ হাজার শ্রমিকদের সরকারি পরিচয়পত্র দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সভামঞ্চে উপস্থিত শ্রমমন্ত্রী মলয়কে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি চা বাগানে স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ থেকে শুরু করে শিশুদের জন্য ক্রেশ তৈরির প্রতিশ্রুতিও দিয়ে এসেছিলেন অভিষেক।
আগামী ২২ তারিখে মলয় ও পুলক রওনা হতে পারেন উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে তাঁরা যে সব চা বাগানে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ক্রেশ তৈরি হবে, সেই সব বাগানগুলি পরিদর্শন করবেন। পাশাপাশি কাজ দ্রুত সম্পাদনের জন্য সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের কর্মসূচিও রয়েছে তাঁদের। মলয় জানিয়েছেন, পরিচয়পত্রের যে প্রতিশ্রুতি অভিষেক মালবাজারে দিয়ে এসেছিলেন, সেই কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। উৎসবের মরসুম কেটে গেলে চা বাগানের শ্রমিকদের পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ শুরু করবে শ্রম দফতর। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রতিশ্রুতি মতো আগামী ছ’মাসের মধ্যে ২৮৫টি চা বাগানকে ঘিরে ২০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ৫০টি ক্রেশ তৈরি করা হবে। ২০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই থাকবে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা। উত্তরবঙ্গের চা বাগান মালিকরা মূলত তিনটি সংগঠনে বিভক্ত। দার্জিলিং, তরাই ও ডুয়ার্সের পৃথক সংগঠন দ্বারা তারা চা বাগান চালান।
চা বাগানে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ক্রেশ তৈরি করার বিষয় ২৮৫ জন চা বাগান কর্তৃপক্ষের থেকে সম্মতিপত্র আদায় করেছে শ্রম দফতর। চা বাগানে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে দ্রুত সেখানে মন্ত্রীকে পাঠানোর কথাও ১১ তারিখের সভায় বলে এসেছিলেন অভিষেক। সেই মতো মন্ত্রী পুলক মলয়ের সঙ্গী হচ্ছেন উত্তরবঙ্গে। পূর্ত দফতরের পাশাপাশি পুলকের হাতে রয়েছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের দায়িত্ব। রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় জল সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে এই দফতর। তাই চা বাগানে গিয়ে যেখানে জলকষ্ট রয়েছে, সেখানে জল সরবরাহের বন্দোবস্ত করবেন মন্ত্রী পুলক।