চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে মাত্র ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৮ জন। ছবি: প্রতীকী
২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক। নাম নথিভুক্ত করলেও শেষ পর্যন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছে না দু’লক্ষ পরীক্ষার্থী। চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে মাত্র ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৮ জন। যেখানে গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫। পর্ষদের দাবি, অতিমারির প্রভাবেই এমনটা হয়েছে।
কেন এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এতটা কমেছে, উঠছে সেই প্রশ্ন। জবাব দিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় অতিমারিকেই দায়ী করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অতিমারির প্রভাবেই এ রকম হয়েছে। অনেকে স্বেচ্ছায় পরীক্ষা দিচ্ছে না, প্রস্তুতি নেই বলে। অনেক টেস্টে পাশ করেনি। যারা কোভিডের সময় অষ্টম-নবম শ্রেণিতে পড়ত, তারাই এ বছর পরীক্ষা দিচ্ছে। কোভিডের কারণে স্কুলে ক্লাস হয়নি। তারও প্রভাবে এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হতে পারে বলে মনে করছেন রামানুজ। যদিও এর পরেও প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি অতিমারির সময় অনলাইনে ঠিকমতো পড়াশোনা হয়নি!
এ বছর মাধ্যমিকে পরীক্ষকের সংখ্যা ৪০,৩৫৩। পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ২,৮৬৭। যেখানে গত বছর পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৪,১৯৪। এই প্রথম বার পরীক্ষাকেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবে পুলিশ। প্রত্যেক কেন্দ্রে এ বার সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক করেছে পর্ষদ। পরীক্ষাকেন্দ্রে অভিভাবকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রতি বছর পরীক্ষার প্রথম দিন অভিভাবকেরা কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে পড়েন। এ বার তা একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে পর্ষদ। কোন পড়ুয়ার কোথায় আসন পড়েছে, তা কেন্দ্রের বাইরে টাঙানো থাকবে।
এ বছর মধ্যঅ্যাপ চালু করেছে। নিজেদের মধ্যে অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখবেন পর্ষদের কর্মী-আধিকারিকেরা। পরীক্ষাকেন্দ্রে নিযুক্ত সুপারভাইজারের সঙ্গে এই অ্যাপের মাধ্যমেই যোগাযোগ রাখা হবে। ১৭ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি অ্যাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় প্রশ্ন পৌঁছে গিয়েছে। সারা রাজ্যে মোট ৩৭৩টি পুলিশ হেফাজতে রাখা রয়েছে সেই প্রশ্ন।