Twitter

মমতা সম্পর্কে ‘সম্মানহানিকর’ মন্তব্য? মহিলা কমিশনে অভিযোগ ধনখড়ের বিরুদ্ধে

২ অক্টোবর রাজ্যপাল টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে ওই ধরনের কথা লিখেছিলেন বলে অভিযোগকারিণী সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৫১
Share:

জগদীপ ধনখড়

মহিলা কমিশনে অভিযোগ জমা পড়ল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে ‘সম্মানহানিকর’, ‘যৌন হেনস্থামূলক’ এবং ‘নারীবিদ্বেষী’ মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল-এমনই লেখা হয়েছে অভিযোগপত্রে। ২ অক্টোবর রাজ্যপাল টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে ওই ধরনের কথা লিখেছিলেন বলে অভিযোগকারিণী সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন।

Advertisement

অভিযোগপত্রে যে দুটি টুইটের বয়ান তুলে ধরা হয়েছে, তাতে একটি সর্বভারতীয় নিউজ চ্যানেল এবং অমিতাভ বচ্চনের টুইটার হ্যান্ডলকে ট্যাগ করা হয়েছে। ট্যাগ করা হয়েছে মমতার টুইটার হ্যান্ডলকেও। অমিতাভ পরিচালিত একটি জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শোয়ের দৌলতে পরিচিত হয়ে ওঠা কয়েকটি শব্দ এবং বাক্যাংশ সে টুইটে ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন অমিতাভের উদ্দেশে রাজ্যপাল সেখানে লিখছেন, ‘রাজ্যপাল হিসেবে আমি ইতিমধ্যেই হটসিটে বসে রয়েছি, কোনও লাইফলাইন ছাড়াই’। তিনি লিখছেন, ‘মহানায়ককে অনুরোধ করেছি সেই মুহূর্তটা লক করতে, যখন আমি মমতাজির কাছ থেকে মমতা পাব’।

টুইটের এই বয়ান নিয়েই আপত্তি অভিযোগকারিণীর। মমতা সম্পর্কে ধনখড় যা লিখেছেন, তা একজন মহিলার পক্ষে ‘সম্মানহানিকর’ বলে তাঁর দাবি। ধনখড়ের ওই টুইট ‘যৌন হেনস্থার শামিল’ এবং ‘নারীবিদ্বেষী’ বলেও অভিযোগ উত্তর কলকাতার রামমোহন রায় রোডের বাসিন্দা সুস্মিতার।

Advertisement

রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে ৬ অক্টোবর চিঠিটি লিখেছেন সুস্মিতা। কমিশন অভিযোগটি গ্রহণও করেছে। অভিযোগপত্রে সুস্মিতা দাবি করেছেন যে, রাজ্যপালকে ওই টুইট পুরোপুরি সরিয়ে ফেলতে এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে কমিশন নির্দেশ দিক। কমিশন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদ থেকে ধনখড়কে ইস্তফা দিতে বলুক, এমন দাবিও সুস্মিতা তুলেছেন।

আরও পড়ুন:পুজোর পরে সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা, কোভিড-শয্যা বাড়ানোর নির্দেশ​

রাজ্যপালের টুইটার হ্যান্ডলে অবশ্য ওই রকম কোনও টুইট এখন আর দেখা যাচ্ছে না। আদৌ ওই রকম কোনও টুইট হয়নি, নাকি বিতর্কের আঁচ পেয়ে টুইট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, স্পষ্ট নয়। মহিলা কমিশন এ বিষয়ে অভিযোগকারিণীকে কোনও আশ্বাস দিয়েছে কি না, তা-ও জানা যায়নি। কারণ কমিশনের তরফে এ নিয়ে এখনও কোনও প্রকাশ্য বিবৃতি নেই। আর অভিযোগপত্রে অভিযোগকারিণী নিজের যে ফোন নম্বর দিয়েছেন, রবিবার সে নম্বরে একাধিক বার ফোন করেও যোগাযোগ করা যায়নি। ওই নম্বরে ইনকামিং কলের সুবিধা নেই, বার বার শোনা গিয়েছে এই কথা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement