একে অপরকে গানে গানে ‘গুঁতো’ দিলেন।
গান গেয়ে কুণাল ঘোষকে আক্রমণ করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। জবাবে স্বরচিত গান গাইলেন কুণালও। আবার তারও জবাবে গান বাঁধলেন অসীম। বলা ভাল, একে অপরকে গানে গানে ‘গুঁতো’ দিলেন।
বিতর্কের বিষয় সারদা কেলেঙ্কারি এবং সিবিআই। লড়াই এমনই শুষ্ক দুই বিষয় নিয়ে। কিন্তু সেই বিতর্কেই লাগল কবিগানের সুর। হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার ‘স্বভাবকবি’ হিসাবে পরিচিত। কবিগানই তাঁর পেশা। বিজেপির মঞ্চে তাঁর মুখে রাজনৈতিক কবিগান প্রায়ই শোনা যায়। নদিয়ার গাইঘাটায় তেমনই এক মঞ্চে মঙ্গলবার কুণালের নাম করে সমালোচনা করেন অসীম।
সম্প্রতি সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নামোল্লেখ করার পর থেকেই তাঁকে গ্রেফতারের দাবি তোলে তৃণমূল। সরব হন কুণালও। সেই প্রসঙ্গ টেনেই অসীমের গানের কথা ছিল— ‘তোমার মনে নাই না! তুমি জেলখানায় যখন গিয়েছিলে, বললে কোন কথা?’ পাশাপাশিই, অসীম আক্রমণের লক্ষ্য করেছিলেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এর জবাব দিতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে নিজের লেখা একটি গান গেয়ে শোনান কুণাল। তাতে অবশ্য অসীমের তুলনায় তাঁর আক্রমণের ঝাঁজ বেশি শুভেন্দুর প্রতিই। গানের শুরুতে কুণাল গেয়েছেন, ‘ও অসীম সরকার, তোমাকেই তো দরকার। তোলাবাজ ওই শুভেন্দুটার তুমি নাকি মোক্তার।’ বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কুণাল আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমি যখন শুনলাম, আমার নাম নিয়ে গান বাঁধা হয়েছে, তখন আমিও একটা গান লিখে ফেললাম।’’ কুণাল জানান, বারুইপুরের একটি সভা থেকে ফেরার পথে মোবাইলে তিনি ওই গানটি লিখেছেন।
কুণালের গান শুনে রাজনৈতিক আক্রমণের সঙ্গে গানের কথাতেও গিয়েছেন। কবিগানের বিচারে তিনি যে ‘এগিয়ে’, তা বোঝাতে জবাব দিয়েছেন গান বেঁধেই। এখন দেখার, কুণাল আবার একটি গান লিখে অসীমের জবাব দেন কি না। দেখার, আপাতত স্লোগান সরিয়ে রেখে এই ‘গানের লড়াই’ চালু থাকে কি না কুণাল-অসীমের মধ্যে!