অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
বহরমপুরের উন্নয়নের প্রশ্নে স্থানীয় সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের টানাপড়েন এ বার উঠে এল সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) বৈঠকেও। পিএসি-র চেয়ারম্যান হিসেবে অধীর চৌধুরী বহরমপুরে বৈদ্যুতিক চুল্লি এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন। কলকাতায় বাইপাসের ধারে একটি হোটেলে সোমবার পিএসি বৈঠকে হাজির ছিলেন পুর সচিব খলিল আহমেদ এবং অন্য আধিকারিকেরা। সেখানেই বিতণ্ডা বাধে।
সূত্রের খবর, বহরমপুরের শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকারি স্তরে নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে এ দিনের বৈঠকে বিবরণ দেন রাজ্যের আধিকারিকেরা। এক সময়ে চেয়ারম্যান অধীরবাবু তাঁদের থামিয়ে বলেন, তাঁকে ভিডিয়ো ফুটেজ দেখানোর সুযোগ দেওয়া হোক। সম্মতি দেন উপস্থিত সদস্যেরা। দু’দিন আগে তোলা ওই ভিডিয়োয় দেখা যায়, বহরমপুরের খাগড়ার শ্মশানে কাঠে মরদেহ দাহ হচ্ছে। বহরমপুরের রাস্তায় জঞ্জালের পাহাড় ঘিরে চরে বেড়াচ্ছে পশু-পাখি। অন্য সদস্যেরা অধীরবাবুর দাবির পক্ষেই মত দেন। পিএসি চেয়ারম্যান চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, রাজ্যের আধিকারিকেরা পারলে ওই এলাকা থেকে সরাসরি সম্প্রচার করে দেখান! ‘নমোমি গঙ্গে’ প্রকল্প নিয়েও এ দিন বৈঠকে আলোচনা ছিল। বৈঠকের বাকি পর্ব হবে আন্দামানে।
পিএসি-র রীতি মেনে কেউ বাইরে মুখ খোলেননি। তবে পুর দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, কোথাও একটা ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হয়ে থাকতে পারে। পরে তা শুধরে নেওয়া হবে।