কাকদ্বীপের মৎস্যবন্দরে এসে পৌঁছল প্রমাণ মাপের ইলিশ। নিজস্ব চিত্র
বুধ ও বৃহস্পতিবার ৬০টি ট্রলার প্রায় ৪০ টন মাছ নিয়ে ফিরল। এত দিন পরে হাসি ফুটল মৎস্যজীবীদের মুখে। টাটকা ইলিশ পাতে পড়ার আশা জাগল আমবাঙালির মনেও। ৭০০-৮০০ গ্রাম থেকে দেড় কিলোর বেশি ওজনের ইলিশ ওঠায় তার স্বাদও ভাল হবে বলে জানাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। হাজার থেকে প্রায় আড়াই হাজার টাকায় তা খোলা বাজারে পাওয়া যাবে বলে জানাচ্ছে মাছ ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ এলাকায় বিভিন্ন ঘাট থেকে চার দফায় প্রায় ৫ হাজার ট্রলার সমুদ্রে ইলিশ ধরতে যায়। ১৫ জুন ইলিশের মরসুম শুরু হলেও গত দু’মাসে বার বার সমুদ্রে গিয়েও প্রায় খালি হাতে ফিরতে হয়েছে মৎস্যজীবীদের। আবহাওয়ার জন্যই ইলিশের ঝাঁক আসছিল না বলে জানান মৎস্যজীবীরা। কিন্তু গত কয়েক দিনে ঝিরঝিরে বৃষ্টি ছিল। পুবালি হাওয়াও বইছিল বলে এ যাত্রায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন মৎস্যজীবীরা।
দিন পাঁচেক আগে বেশ কিছু ট্রলার সমুদ্রে যায়। তারা এক একে ফিরতে শুরু করেছে। কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘‘ইলিশ ধরার অনুকূল পরিবেশ থাকায় এত দিন পরে ইলিশ মিলল। এখনও অনেক ট্রলার সমুদ্রে রয়েছে। এক একে ফিরছে। আশা করি, আরও মাছ আসবে।’’