বিধায়কদের ভোট দিতে শেখাবেন তাপস-পার্থরা।
আগামী ১৮ জুলাই দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেই নির্বাচনে কী ভাবে অংশ নিতে হবে, কী ভাবে দলের ঠিক করে দেওয়া প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে সেই বিষয়ে দলের বিধায়কদের প্রশিক্ষণ দেবে তৃণমূল পরিষদীয় দল। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২১৬। বিজেপি থেকে আরও পাঁচ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগদান করায় মোট ২২২ জন বিধায়ককে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তৃণমূল পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, মূলত প্রথম বার জিতে আসা বিধায়কদের জন্যই এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হতে পারে। তৃণমূল পরিষদীয় দলে এমন বিধায়কের সংখ্যা প্রায় ৭০। ভুলবশত হলেও বিধায়করা যাতে কোনও ভাবেই নিজের ভোট নষ্ট না করেন সেই কারণেই এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা বলে দলীয় সূত্রে খবর। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী যশবন্ত সিন্হার দিকে যাতে দলের সব বিধায়কদের ভোট যায় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
গত বার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের এবং ইউপিএ প্রার্থী মীরা কুমারের মধ্যে। সে বার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার তিন জন বিজেপি বিধায়ক ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের বিধায়কদের ভোট দেওয়ার কথা ছিল মীরাকে। কিন্তু ভোট গণনার সময় দেখা যায় তিনের বদলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১৩টি ভোট পেয়েছেন রামনাথ। আর আট জন বিধায়কের ভোট নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রায় ১৮টি ভোট কী ভাবে বিরোধী শিবিরে গেল বা নষ্ট হল তা নিয়ে বাম-কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে দড়ি টানাটানি হয়েছিল। কোনও পক্ষই মানতে চাননি যে তাদের বিধায়করা কোবিন্দকে ভোট দিয়েছেন। এ বার আর তেমন পরিস্থিতি চাইছে না বাংলার শাসকদল। তাই এ বার প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানের প্রক্রিয়া বিধায়কদের বুঝিয়ে দিতে চাইছে। ঘটনাচক্র, আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হা ব্যতীত তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সব সাংসদরা ভোট দেবেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেই।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতন নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘দল আমাদের নির্দেশ দিলেই প্রশিক্ষণ শিবিরের দিন ক্ষণ স্থির করে ফেলা হবে।’’ হাতেকলমে বিধায়কদের ভোটদানের প্রক্রিয়া শেখাতে পারেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়-সহ তৃণমূল পরিষদীয় দলের বরিষ্ঠ বিধায়করা। প্রশিক্ষণ শিবিরটি হবে বিধানসভার নৌশার আলি কক্ষে। অন্য দিকে, আগামী শনিবার বিধানসভায় ভোট চাইতে আসবেন এনডিএ শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি সাক্ষাৎ করতে পারেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।