Manipur Violence

মণিপুরে আরও ১০ হাজার জওয়ান পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, রাজ্য পাহারা দেবে মোট ২৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে মণিপুরে। তাদের মধ্যে একটা বড় অংশ ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যে। রাজ্যবাসীর প্রাণ এবং সম্পত্তিরক্ষার জন্য প্রয়োজন মতো এই বাহিনী মোতায়েন করা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৪৫
Share:

মণিপুরের ইম্ফলে তল্লাশি চালাচ্ছেন জওয়ানেরা। ছবি: পিটিআই।

নতুন করে উত্তপ্ত মণিপুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেই রাজ্যে আরও প্রায় ৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ মণিপুরে মোতায়েন করা হচ্ছে আরও ১০ হাজারেরও বেশি জওয়ান। এর ফলে এখন ওই রাজ্যে পাহারা দেবে মোট ২৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

Advertisement

মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিংহ শুক্রবার রাজধানী ইম্ফলে জানিয়েছেন, আরও ৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে মণিপুরে। তাদের মধ্যে একটা বড় অংশ ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যে। রাজ্যবাসীর প্রাণ এবং সম্পত্তিরক্ষার জন্য প্রয়োজন মতো এই বাহিনী মোতায়েন করা হবে। কুলদীপ আরও জানিয়েছেন, আর কিছু দিনের মধ্যে মণিপুরের সব এলাকাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। কোথাও নিরাপত্তার কোনও ফাঁক থাকবে না। বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়সাধনের জন্য প্রতি জেলায় নতুন সমন্বয়ক সেল এবং যৌথ কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।

২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। কুলদীপ জানিয়েছেন, সেই থেকে এখন পর্যন্ত রাজ্যে ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষের পর থেকে বহু থানা থেকে অস্ত্র লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। কুলদীপের দাবি, এখনও পর্যন্ত নিরপত্তাবাহিনী থানা থেকে লুট হওয়া ৩০০০ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে একসঙ্গে কাজ করছে পুলিশ, সেন্ট্রাল রিজার্ভ ফোর্স (সিআরপিএফ), সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ), সেনা বাহিনী, আসাম রাইফেলস, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি), সশস্ত্র সীমা বল।

Advertisement

মণিপুরে সংঘর্ষের প্রথম পর্যায়ে শান্ত ছিল জিরিবাম জেলা। গত ৭ নভেম্বর সেখানে তিন সন্তানের মাকে খুনের অভিযোগ ওঠে মেইতেইদের বিরুদ্ধে। ওই মহিলা হিমার জনজাতির। ১১ নভেম্বর জিরিবামের বোরোবেকরায় পাল্টা হামলার অভিযোগ ওঠে কুকিদের বিরুদ্ধে। সিআরপিএফ জওয়ানদের গুলিতে মারা যায় ১০ কুকি জঙ্গি। যদিও কুকিদের দাবি, নিহতেরা ‘গ্রামরক্ষী’ ছিলেন। অভিযোগ, সিআরপিএফের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের মাঝেই এক মেইতেই পরিবারের তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণ করে কুকিরা। পরে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয় নদী থেকে। সেই নিয়ে আবার উত্তপ্ত মণিপুর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement