ত্রিপুরায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি, অমিত শাহের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল। ফাইল চিত্র
ত্রিপুরায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সময় চাইল তৃণমূল। রবিবার আগরতলায় তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির পরেই তৎপর হয় তৃণমূলের সংসদীয় দল। দ্রুত সাংসদদের দিল্লিতে পৌঁছতে বলা হয়। সন্ধ্যায় তৃণমূল সংসদীয় দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ত্রিপুরায় আইন শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে সময় চেয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। সঙ্গে সোমবার দিল্লিতে ধরনা কর্মসূচিও করবেন তৃণমূল সাংসদরা। মোট ১৫ জন তৃণমূল সাংসদ দেখা করবেন অমিতের সঙ্গে। ঘটনাচক্রে সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লি যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজধানীতে মমতার উপস্থিতিতে দলীয় সাংসদরা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যাচ্ছেন এবং দেশের একটি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করছেন, এমন ঘটনা জাতীয় রাজনীতিতেও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় ২৫ তারিখ পুরভোটের আগেই রবিবার ছিল শেষ প্রচার। সেই প্রচারকে ছাপিয়ে গেল সায়নীর গ্রেফতারির ঘটনা। রবিবার বিকেলে খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে আগরতলা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ৩০৭, ১৫৩ এবং ১২০ বি ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই আগরতলা পূর্ব থানায় ছিলেন সায়নী। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সহকর্মীর পাশে থাকতে থানাতেই ছিলেন সুস্মিতা দেব-সহ প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ও কুণাল ঘোষ। সায়নীকে না ছাড়া পর্যন্ত তাঁরা থানাতেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা। বিজেপি-র বিরুদ্ধে থানায় ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। সুস্মিতার দাবি, থানার বাইরে লাঠি হাতে, হেলমেট পরে জমায়েত করে বিজেপি। সায়নী থানায় ঢুকতেই আক্রমণ করেন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। তৃণমূলের এক প্রবীণ সাংসদ জানিয়েছেন, শুধু সায়নীর গ্রেফতারি নয়, সার্বিকভাবে ত্রিপুরায় আইন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিপ্লব দেব সরকার সবক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। এমনই সব অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যাবেন তাঁরা।