নিজের মন্তব্য থেকে পিছু হঠলেন প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। ফাইল চিত্র
ভুল স্বীকার করলেন প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত। রবিবার তাঁর একটি মন্তব্যকে ঘিরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়। আর সেই বিতর্ক আরও বড় আকার ধারণ করার আগেই তাঁকে শোকজ করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই শোকজের জেরেই ভুল স্বীকার করলেন শালবনীর তিন বারের বিধায়ক। সম্প্রতি রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্তর এমনই একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়ে উঠেছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। শ্রীকান্তর অভিযোগ, উমা সরেন, সন্ধ্যা রায়, মুনমুন সেন, জুন মালিয়া, সায়নী, সায়ন্তিকা, মিমি, নুসরত, নেপাল সিংহ, সন্দীপ সিংহ এবং উত্তরা সিংহের মতো নেতা-নেত্রী ‘লুটেপুটে খাচ্ছেন’। এ সত্ত্বেও তাঁদেরকে দল ‘সম্পদ’ বলে মনে করছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। শ্রীকান্তর বক্তব্যে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। এ হেন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর শ্রীকান্তকে শোকজও করেছে দল।
সেই শোকজ নোটিস পাওয়ার পরেই সুর বদল করেন প্রতিমন্ত্রী। আনন্দবাজার অনলাইনকে শ্রীকান্ত বলেন, ‘‘আমি ভুল করেছি। দলের কাছে ভুল স্বীকার করেছি। আবেগবশত আমি ভুল বলেছিলাম।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর থেকে মিমি চক্রবর্তী ও বসিরহাট থেকে নুসরত জাহান তৃণমূলের প্রতীকে প্রার্থী হয়ে সাংসদ হন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিণে প্রার্থী হয়ে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের কাছে পরাজিত হন সায়নী ঘোষ। পরে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য যুব তৃণমূলের সভানেত্রী পদে বসানো হয়। তবে যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে শ্রীকান্ত নির্বাচিত হয়েছেন, সেই জেলা থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন জুন মালিয়া। মেদিনীপুর বিধানসভা থেকে বিধায়ক হয়েছেন তিনি।
কিন্তু কী কারণে শ্রীকান্ত এমন বিতর্কিত মন্তব্য করলেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। কিন্তু বিতর্কিত ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর তৃণমূল নেতৃত্বের কড়া পদক্ষেপেই নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন শ্রীকান্ত। সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে যাবতীয় বিতর্কের অবসান চেয়েছেন তিনি।