মঙ্গলবার মঞ্চে দলের এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ৫ মে যেদিন মুখ্যমন্ত্রী তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি সেই দিন থেকেই লাগাতার কর্মসূচি করতে হবে দলের সর্বস্তরের নেতাদের।
—ফাইল চিত্র
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার তারিখ থেকেই লাগাতার জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে তৃণমূল। মঙ্গলবার মঞ্চে দলের এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ৫ মে (যেদিন মুখ্যমন্ত্রী তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের দায়িত্ব নিয়েছিলেন) থেকেই লাগাতার কর্মসূচি করতে হবে দলের সর্বস্তরের নেতাদের। মূলত তিন ধাপে এই কর্মসূচি হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। ২ মে জয়ের পর ৫ মে রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন মমতা। কর্মসূচি টানা ২১ জুলাই পর্যন্ত করবেন তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। কর্মসূচিতে জনসাধারণের সঙ্গে সরাসরি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে জনসংযোগ করবেন শাসকদলের নেতাকর্মীরা। সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংযোগের পাশাপাশি তাদের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া রাত্রিযাপনের নির্দেশও দিয়েছেন মমতা।
তিন ধাপে এই কর্মসূচি হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম পর্যায়ে ৫ মে থেকে ২১ জুলাই। পরের পর্যায়ে ২১ জুলাই থেকে রাজ্যের উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত। আবার তৃতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি শুরু হবে পুজোর পর থেকে। পরবর্তী সময়ে এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে হবে। যদিও, এই কর্মসূচি শুরু হওয়া দিন হিসেবে প্রথমে মমতা ২ মে-র দিনটি ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ওইদিন মুসলিম ধর্মাবলম্বীদেরি ঈদ থাকায় কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই কারণে কর্মসূচি পিছিয়ে ৫ তারিখ করা হচ্ছে।
রাজনীতির কারবারিরা তৃণমূলের অনুসূচিত সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন 'দিদিকে বলো' কর্মসূচির। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই নজরুল মঞ্চ থেকেই সেই কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। অবশ্য এই কর্মসূচির অগ্রভাগে ছিলেন তৃণমূলের পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। মঙ্গলবার প্রশান্ত মঞ্চে থাকলেও কর্মসূচি নিয়ে যাবতীয় ঘোষণা করেছেন মমতাই। মনে করা হচ্ছে, আগামী পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।