Municipality Election

WB municipal election: ইচ্ছে থাকলেও কোভিড পরিস্থিতিতে এখনই পুরভোটের ঝুঁকি নিচ্ছে না তৃণমূল

এখনও রাজ্যে মোট ১১২টি পুরসভার নির্বাচন বাকি। তার মধ্যে কলকাতাও আছে।  সেগুলিতে আপাতত প্রশাসক বসানো রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২১ ১১:৪৭
Share:

ফাইল চিত্র।

বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের আবহেই রাজ্যে পুরভোট করিয়ে নেওয়া উচিত— শাসকদলের অন্দরে এমন একটা ইচ্ছে থাকলেও রাজ্যের করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এখনই পুরভোটের ঝুঁকি নিতে চাইছে না তৃণমূল। রাজ্যের শাসক শিবির সূত্রে এমনই খবর।

Advertisement

এখনও রাজ্যে মোট ১১২টি পুরসভার নির্বাচন বাকি। তার মধ্যে কলকাতাও আছে। সেগুলিতে আপাতত প্রশাসক বসানো রয়েছে। আজ বা কাল নির্বাচন করাতেই হবে। কিন্তু তা নিয়ে তাড়াহুড়ো করার পক্ষপাতী নয় দলের একটি অংশ। কারণ, করোনা আবহে আট দফায় বিধানসভা ভোট করানোয় তৃণমূল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপি-র বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগ করেছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, রাজ্যে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকার নেওয়ার পিছনে কেন্দ্রের শাসকদলের ভোট দীর্ঘ সময় নিয়ে ভোট করানো সিদ্ধান্তই দায়ী। যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে আটটি দফায় ভোট করানো হয়েছিল, তাতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। সেই কারণেই শাসকশিবির করোনা পরিস্থিতিতে পুরভোট করানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না আপাতত।

সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একবার রাজ্যে আট দফায় ভোট করানো নিয়ে কাঠগড়ায় তুলেছেন কমিশন ও কেন্দ্রীয় সরকারকে। কড়া বিধিনিষেধ জারি করে আপাতত করোনা সংক্রমণ খানিকটা আয়ত্তে এসেছে। সেই পরিস্থিতি পুরোপুরি আয়ত্তে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করাকেই শ্রেয় বলে মনে করছে শাসকপক্ষ।

Advertisement

রাজ্যের ছ’টি কর্পোরেশন এবং ১০৬টি পুরসভায় ভোট বাকি। মূলতঃশহর ও মফস্সল এলাকায় ভোট হওয়ার কথা। করোনার প্রথম ঢেউয়ের কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে ওই ভোটপ্রক্রিয়া শুরু করেও পিছিয়ে যেতে হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। তার পর থেকেই রাজ্যে পুরভোটের প্রক্রিয়া পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘‘সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে ভোট করা সম্ভব নয়। কারণ, সকলের আগে ভোটকর্মী ও ভোটারদের স্বাস্থ্যের কথা ভাবতে হচ্ছে।’’

পরিস্থিতি বুঝে বিধানসভা ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে পুরসভাগুলিতে পুর প্রশাসক নিয়োগের কাজে গতি বাড়িয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। সঙ্গে গড়ে দেওয়া হচ্ছে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। যাতে পুর পরিষেবা পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হয়। যতদিন না পুরভোট করানো সম্ভব হচ্ছে, ততদিন পুর প্রশাসকের নেতৃত্বেই কাজ করবে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement