স্বীকৃতির প্রশ্ন কেন এখনই, কমিশনকে তৃণমূল

যতগুলি রাজ্য থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক সাংসদ বা বিধায়ক থাকলে জাতীয় দলের স্বীকৃতি বজায় রাখা যায়, তা না থাকায় এ বার লোকসভা ভোটের পরে তৃণমূল, সিপিআই এবং এনসিপি-কে নোটিস দিয়েছিল কমিশন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৯ ০৫:১৬
Share:

জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ছবি: সংগৃহীত।

জাতীয় দলের মর্যাদা প্রত্যাহার কেন করা হবে না, তার কারণ দর্শাতে বলে নোটিস দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। জবাব পাঠিয়ে ওই স্বীকৃতি ধরে রাখার প্রশ্নেই সওয়াল করল তৃণমূল। জাতীয় দলের মর্যাদা প্রত্যাহার না করার আবেদন জানিয়েছে সিপিআই-ও।

Advertisement

যতগুলি রাজ্য থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক সাংসদ বা বিধায়ক থাকলে জাতীয় দলের স্বীকৃতি বজায় রাখা যায়, তা না থাকায় এ বার লোকসভা ভোটের পরে তৃণমূল, সিপিআই এবং এনসিপি-কে নোটিস দিয়েছিল কমিশন। জবাব পাঠানোর সময়সীমা ছিল ৫ অগস্ট। জবাবি চিঠিতে তৃণমূল জানিয়েছে, তারা জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেয়েছিল ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের পরে। কমিশনেরই পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, ওই স্বীকৃতি আবার পর্যালোচনায় আসতে পারে ২০২৪ সালে। এখন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা উচিত নয়। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘কমিশন বলেছিল, ১০ বছর পরে পরে ‘স্টেটাস’ পর্যালোচনা করবে। এখন আবার প্রশ্ন তুলছে!’’ জাতীয় দলের স্বীকৃতি নিয়ে তাঁরাা যে ভাবিত নন, তা অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছেন মমতা।

তৃণমূল পদ্ধতিগত প্রশ্ন তুললেও সিপিআই তাদের অতীতের পরম্পরা উল্লেখ করেছে। কমিশনকে তারা জানিয়েছে, অতীতে সংসদে দীর্ঘ দিন প্রধান বিরোধী দল ছিল কমিউনিস্ট পার্টি। একাধিক রাজ্যে তারা সরকারে থেকেছে, বরাবর সংবিধানের মর্যাদা রক্ষায় সচেষ্ট থেকেছে। এই পরম্পরা মাথায় রেখে বিষয়টি বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে ডি রাজার দল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement