ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াত সুগম করতে একগুচ্ছ উদ্যোগ নিল পরিবহন দফতর। —ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিকে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীরা। তাদের পরীক্ষার কারণে উৎকণ্ঠায় থাকেন অভিভাবকরা। ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াত সুগম করতে একগুচ্ছ উদ্যোগ নিল পরিবহন দফতর। ২-১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্য জুড়ে চলবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই সময়ে বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে দফতরগুলিকে কাজ করতে বলেছেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এ বছর লিখিত পরীক্ষা ঘণ্টা দুয়েক এগিয়ে এসেছে। এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে। রাজ্য জুড়ে লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা যাতে সহজে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারেন, তার জন্য নেওয়া প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর। বাস, ট্রেন, মেট্রো, ফেরি, ভেসেল পরিষেবা সচল রাখার নির্দেশ চলে গিয়েছে জেলা পরিবহণ আধিকারিকদের কাছে।
পরীক্ষার দিনগুলিতে দফতরের তরফে বিশেষ কন্ট্রোল রুম খুলবে। শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের জন্য একাধিক বাস, ট্রাম রাস্তায় নামবে বলে জানানো হয়েছে। ওই সময় থেকে সক্রিয় থাকবে ফেরি ও ভেসেল পরিষেবাও।
রাজ্যে প্রায় ১০ লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রী জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসতে চলেছে। রাজ্যজুড়ে প্রায় তিন হাজার সরকারি বাস মাধ্যমিকের জন্য পথে নামবে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম ও পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের তরফে কন্ট্রোলরুম খোলা হচ্ছে। যাতে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকsরা পরিবহণ সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যায় পড়লে, নিজেদের অসুবিধার কথা জানাতে পারেন। এ ছাড়াও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা যারা জঙ্গলের রাস্তা পেরিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাবে, তাদের জন্য এ বছর বনবিভাগ বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবহণ দফতর। পাশাপাশি দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মিরিকের মতো জায়গায় যেখানে পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে, সেখানে রুম হিটারের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। শীতের কারণে যাতে পরীক্ষার্থীদের কোনও অসুবিধা না হয়, সে দিকে নজর দিয়েই এই বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে পরিবহণ দফতর বেসরকারি বাস সংগঠনগুলিকেও অতিরিক্ত বাস চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, “পরীক্ষার্থীদের ৯টা ৪০ মিনিটে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে হবে। তাই আমাদের লক্ষ্য হবে বেশি সংখ্যায় বাস চালানো। সাধারণত আমরা ১০ মিনিটের বিরতি নিয়ে এক একটি বাস ছাড়ি। কিন্তু পরীক্ষার দিনগুলিতে ওই বিরতির মেয়াদ ১০ মিনিট থেকে কমিয়ে পাঁচ মিনিট করা হবে। যাতে ছাত্রছাত্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে বাস পান।”