কোভিডের মাঝেই আলোচনার শিরোনামে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকসিস। ইতিমধ্যেই রাজস্থান এবং তেলঙ্গানায় ব্যাপক আকার নিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। রাজ্যও এ নিয়ে নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। তার আগে স্বাস্থ্য ভবনের উদ্যোগে রাজ্যে কমবেশি ৫০০ জন সরকারি চিকিৎসককে নিয়ে ওয়েবিনারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে আলোচনা হয়। তাতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রমণের পর নানা উপসর্গ ও তার চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে পরামর্শ দেন চিকিৎসক নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়, অরুণালোক চক্রবর্তী এবং জ্যোতির্ময় কর। চিকিৎসকদের বেশ কিছু বিষয় নজরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন একমো বা ভেন্টিলেটরে থাকা গুরুতর অসুস্থ কোভিড আক্রান্তদের জন্য—
কোভিড চিকিৎসায় যাঁদের বেশি সময় ধরে স্টেরয়েড দেওয়া হয়েছে তাঁদের ডায়াবিটিসের সমস্যা এবং দুর্বলতা বাড়তে পারে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রমণের সম্ভাবনা কমাতে এ সব ক্ষেত্রে সাবধানে স্টেরয়েডের ব্যবহার।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সেরে ওঠার ২ থেকে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। মূলত ফুসফুস এবং মাথা-নাক-চোখ সংলগ্ন অংশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বাসা বাঁধে।
ফুসফুসে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ—
• জ্বর, কফ, বুকে ব্যথা, বুকে জল জমা, শ্বাস নিতে সমস্যা
• ফুসফুসে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রমণ নিশ্চিত হতে বুকের এক্স রে বা স্ক্যান করে দেখতে হবে।
• প্রয়োজনে বায়োপসি এবং ফাঙ্গাল কালচার করে দেখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
মাথা-নাক-চোখ সংলগ্ন অংশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ
চামড়ায় কালো দাগ, নাক থেকে রক্ত বা কালো তরল বার হতে পারে, মুখের বিভিন্ন অংশে ব্যথা, ফুলে ও অবশ হয়ে যাওয়া, নাক বন্ধ , মাড়ি ফুলে যাওয়া, চোখে আবছা দেখা ।
মাথা-নাক-চোখ সংলগ্ন অংশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের জন্য এমআরআই, এন্ডোস্কপি এবং বায়োপসি করে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপস্থিতে টের পাওয়া যায়।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেওয়া হয়ছে। তবে করোনার চিকিৎসার সময় থেকেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে প্রয়োজনীয় বিধি নিষেধ মানার পরামর্শ স্বাস্থ্য দফতরের। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রুখতে রোগীকে আগেভাগে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ না দেওয়ার পরমর্শ বিশেষজ্ঞদের।