নির্জন দিঘার সৈকত। নিজস্ব চিত্র
করোনা সংক্রমণ রুখতে রবিবার থেকে ১৫ দিনের জন্য জারি হয়েছে লকডাউন। তার জেরে রবিবার ছুটির দিন হলেও নির্জন দিঘার সৈকত। যার জের গিয়ে পড়েছে পর্যটন ব্যবসাতেও।
গত বছর লকডাউনের সময় থেকেই ধাক্কা খাচ্ছে দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি, তাজপুর-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক পর্যটনকেন্দ্রের ব্যবসা। রবিবার ফিরে এল সেই স্মৃতি। ট্রেন বন্ধ হয়েছিল আগেই। রবিবার থেকে রাজ্যে জারি হয়েছে ১৫ দিনের লকডাউন। তার জেরে ফাঁকা পূর্ব মেদিনীপুরের ওই সব পর্যটনকেন্দ্র। ট্রেন চলাচল বন্ধের পর এ বার বন্ধ যান চলাচলও। কড়া সুরক্ষায় মুড়ে ফেলা হয়েছে দিঘা-ওড়িশা সীমানাও। দুই রাজ্যের তরফে সীমানার দু’দিকে বসানো হয়েছে পাহারা। যেখান দিয়ে মাছি গলার জো নেই।
গত বছর মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ব্যবসা বন্ধ ছিল। তার পর ধীরে ধীরে পর্যটকের ভিড় বাড়ছিল দিঘায়। তবে গত মাস দু’য়েক ধরে দিঘা থেকে ধীরে ধীরে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন পর্যটকরা। দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশানের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রথম দফায় লকডাউনের জেরে হোটেল ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। পরে করোনা সুরক্ষাবিধি মেনে ধীরে ধীরে ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল। কিন্তু ক্রমাগত বাড়তে থাকা করোনার দাপটে ফের চরম দুরবস্থা তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে এই কাজে যুক্ত হাজার হাজার কর্মীদের অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ হয়েছে।’’