ফাইল চিত্র
সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে শিলিগুড়িতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে উত্তরবঙ্গের মূল আয়ের দুই উৎস নিয়ে পরপর দু’দিনে বড় সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। শুক্রবার চা বাগানগুলির বৈঠকে শ্রমিকদের জন্য ২০ শতাংশ বোনাস ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার পর্যটন ব্যবসার সব স্তরের মোট ৫০টি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। বৈঠকে তরাই, ডুয়ার্স পাহাড়ের দুই জেলার প্রতিনিধিরা ছিলেন। ছিলেন জেলাশাসকেরা এবং পর্যটন দফতরের অফিসারেরাও। সেখানে ঠিক হয়েছে, এক দিকে আর্থিক প্যাকেজে সহজে ঋণের পাশাপাশি কর ছাড়ের ব্যবস্থা করা হবে। অন্য দিকে, হেল্প লাইন, মনিটরিং সেল থেকে জেলা পর্যটন বোর্ড গড়ে নজরদারির ব্যবস্থাও হবে। পর্যটনমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী পর্যটন শিল্পকে বরাবর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখেন। করোনার জেরে শিল্পটার ভিত পুরো নড়ে গিয়েছে। একে ঠিক করার জন্য সরকারি স্তরে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কিছু কাজ করছি।’’
এদিন সিকিম সরকারও জানায়, ১০ অক্টোবর থেকে পর্যটন চালু হবে। তবে সফর শুরুর ৭২ আগের টেস্ট করা করোনা নেগেটিভ শংসাপত্র নিয়েই সিকিমে ঢোকা যাবে। প্রতি সিকিম সীমানায় নথিপত্র পরীক্ষা হবে।রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে চলতি সপ্তাহেই কলকাতায় একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে ঠিক হয়, পর্যটনের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি সংস্থাগুলিকে বাঁচাতে আর্থিক সাহায্য করা হবে। বিষয়টি নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। সব চূড়ান্ত হলেই কলকাতা থেকে প্যাকেজটি ঘোষণা করা হবে। তেমনিই, পর্যটনের কাজে ব্যবহার করা পরিবহণের কর, ফি, পেনাল্টির বিষয়গুলি ডিসেম্বর মাস অবধি জারি থাকবে।
পর্যটকদের সুবিধায় শিলিগুড়ির মৈনাক হোটেলে মনিটারিং সেল এবং হেল্প লাইন চালু হবে। কোভিড থেকে বুকিং, পরিবহণ— সব সমস্যার জন্য পর্যটকেরা ফোন করতে পারবেন। পুজো থেকে ভাইফোঁটা অবধি এনজেপি স্টেশন, বাগডোগরা বিমানবন্দর, তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাল, মালবাজার এবং আলিপুরদুয়ার শহরে হেল্প ক্যাম্প চালু থাকবে। তবে সবাইকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্য দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ডিএম-এর নেতৃত্বে টুরিজম বোর্ড বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে কাজ করবে। হোমস্টেগুলি দ্রুত পর্যটন দফতরে নথিভুক্ত করিয়ে দেড় লক্ষ টাকা ভর্তুকির দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। চা বাগান, বন দফতর, সিঙ্কোনা বাগানের জমিতে হোমস্টে হলে ছাড়পত্রের বিষয়টি ডিএম-কে দেখতে হবে।