সেই তোরণ। নিজস্ব চিত্র।
শারদ শুভেচ্ছায় তোরণ বানিয়েছিল নারায়ণগড় ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বেলদায় সেই তোরণে লাগানো ছিল শুভেন্দু অধিকারীর বেশ কয়েকটি ছবিও। ষষ্ঠীর দিন তৈরি হয়েছিল তোরণ। একদিন পর দেখা গেল, তোরণের বাকি সব কিছু ঠিকঠাক রয়েছে। শুধু ছেঁড়া শুভেন্দুর একাধিক ছবি।
এই ঘটনার পর তরজা শুরু হয়েছে নারায়ণগড় ব্লক জুড়ে। ব্লক টিএমসিপির অভিযোগ, বিরোধীরাই এই কাজ করেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের বক্তব্য, এই ঘটনা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। ব্লক টিএমসিপি শুভেন্দুর ছবি ছেড়ার প্রতিবাদ জানাতে মৌন মিছিলের আয়োজন করেছে। আগামী বৃহস্পতিবার বেলদাতে মিছিল করে ঘটনার প্রতিবাদ জানাবে তারা। সঙ্গে সারা বেলদা শহর মুড়ে দেওয়া হবে শুভেন্দুর ছবিতে।
গত ৮ অক্টোবর কৃষি আইনের সমর্থনে বিজেপি বেলদাতে মিছিল করে। নারায়ণগড় এলাকার বিভিন্ন দাবিকে সামনে রেখে বিডিওকে স্মারকলিপি দেয়। ব্লক তৃণমূল গত ১২ অক্টোবর কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বেলদাতে বহু মানুষের মিছিল ও সভা করেছিল। সেই মিছিলে বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষ, ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ উপস্থিত থাকলেও জেলা পরিষদের সদস্য সূর্যকান্ত অট্ট উপস্থিত ছিলেন না। ব্লক সভাপতি মিহির ও সূর্যকান্ত অট্টের বিরোধ দীর্ঘদিনের। ব্লক তৃণমূলের এই মিছিলের পর ২০ অক্টোবর ব্লক যুব তৃণমূল মিছিল করে। সেই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সূর্যকান্ত।
আলাদা করে বেলদাতে দু’টি মিছিলে প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ। তারপরেই এই তোরণে শুভেন্দুর ছবি ছেড়ার ঘটনা। টিএমসিপির জেলা সহ সভাপতি মনোজ দেব বলেন, ‘‘এই ঘটনায় বিরোধীরাই যুক্ত। দাদার ছবি ছিঁড়ে ঘৃণ্য রাজনীতি করছে বিজেপি।’’ বিজেপি এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। নারায়ণগড় মধ্য মণ্ডল বিজেপির সভাপতি শুভাশিস মহাপাত্র বলেন," নিজেদের দোষ ঢাকতে চাইছে তৃণমূল। নিজেদের দোষ বিজেপির ওপর চাপাতে চাইছে। দলেই দুই নেতৃত্বকে নিয়ে দ্বন্দ্ব সবারই জানা। আমাদের কেউ এই কাজ করেনি।’’