—প্রতীকী চিত্র।
বিশেষ বা নিজের পছন্দ মতো গাড়ির নম্বর পেতে চান? এ বার থেকে ঘরে বসেই সেই সুযোগ মিলতে পারে। তবে সেই নম্বর পেতে অনলাইন নিলামে অংশ নিতে হবে সংশ্লিষ্ট গাড়ির মালিককে। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্ত নেয় পরিবহণ দফতর। বুধবার সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরিবহণ দফতরের পোর্টাল ‘বাহন’-এ গিয়ে অনলাইনে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। তারপর পরিবহণ দফতরের নেওয়া অনলাইন নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশেষ বা নিজের পছন্দের নম্বর পেতে পারেন গাড়ির মালিকরা। যদিও বিশেষ বা নিজের পছন্দের নম্বর নেওয়া আগেই চালু ছিল পরিবহণ দফতরে। কিন্তু এ বার তা অন্য মোড়কে পেশ করে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে চাইছে তারা।
এই প্রক্রিয়ায় যেমন ব্যক্তিগত চার চাকার গাড়ির নম্বর পাওয়া যাবে, তেমনই স্কুটার কিংবা বাইকের ক্ষেত্রেও এই সুবিধা মিলবে। তবে তার জন্য নিলামে অংশ নেওয়া আবশ্যিক। এই বিজ্ঞপ্তিতে আট দফা নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে কোনও ধরনের নম্বর পেতে অনলাইন নিলামে অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। অনলাইন নিলামে অংশ নিতে গেলে এক হাজার টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে। আর সেই ফি ফেরতযোগ্য নয়। বিশেষ বা পছন্দের নম্বর পাওয়ার পর এই ফিয়ের টাকা অন্য ভাবে গাড়ির মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
বিশেষ বা পছন্দের গাড়ির নম্বরটি হাতবদল করা যাবে না। যদি তা হাতবদল করতেই হয় তা হলে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বদল করতে হবে। তবে গাড়ির রেজিস্ট্রশনের বদলের পর সেই বিশেষ গাড়ির নম্বরে আর কোনও বদল করা যাবে না। একটি নম্বরের জন্য ৩০ দিনে সর্বাধিক তিনবার নিলাম প্রক্রিয়া হবে। নিলামে জয়ী কোনও ব্যক্তি যদি ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে নিলাম জয়ের যাবতীয় শর্তপূরণ না করতে পারেন, তা হলে সংশ্লিষ্ট নম্বরটি নিয়ে আবারও নিলাম হবে। অনলাইনে এই নিলাম তিনদিনের জন্য চালু থাকবে। প্রতি সপ্তাহে বুধবার থেকে শুরু হয়ে শুক্রবারের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়ে যাবে। নিলাম সমাপ্ত হওয়ার পর সর্ব্বোচ্চ দরদাতাকে আগামী চার দিন বা মোট ৯৬ ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে।
পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘পরিবহণ দফতর এই ধরনের পরিষেবাকে আরও বেশি জনপ্রিয় করে তুলতে চাইছে। তাই নতুন পদ্ধতিতে অনলাইনে নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নম্বর বিলির প্রচেষ্টা চলছে। এই পদ্ধতিতে যেমন গাড়ির বিশেষ নম্বর গাড়ির মালিকরা পাবেন, তেমনই পরিবহণ দফতরের রাজস্ব আদায়ের পথও প্রশস্ত হবে। ’’