(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শত্রুঘ্ন সিন্হা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
যদি বিজেপি বাংলায় আগুন জ্বালায়, তবে অন্য রাজ্যও সেই আগুনে পুড়বে। গত বুধবার মেয়ো রোডের ছাত্র সমাবেশ থেকে বিজেপির উদ্দেশে এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মা, ওড়িশার মোহনচরণ মাঝি-সহ বিজেপিশাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হন। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ তথা বলিউড অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিন্হা।
শনিবার শত্রুঘ্ন সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, “আমি যত দূর জানি, দিদি (মমতা) যা বলেছেন, সেটা খুবই পরিণত মন্তব্য।” নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যায় শত্রুঘ্ন আরও বলেন, “তিনি বলতে চেয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন এবং সিবিআইয়ের তদন্তাধীন কলকাতার ঘটনাটি নিয়ে মানুষকে যদি প্ররোচিত করতে চান, তবে তার প্রভাব শুধু পশ্চিমবঙ্গেই পড়বে না, অন্যত্রও পড়বে।”
গত বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে মমতা বলেছিলেন, “মোদীবাবু এখানে তাঁর দলকে আগুন জ্বালানোর জন্য ব্যবহার করছেন। যদি আপনি বাংলাকে জ্বালান, তবে অসম, উত্তর-পূর্ব, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং দিল্লিও পুড়বে।”
মমতার এই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হয়েছিল বিজেপি। পদ্মশিবির মমতার বিরুদ্ধে পড়শি রাজ্যগুলিতে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টার অভিযোগ তোলে। অন্য রাজ্য নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই মমতার, এই মর্মে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন হিমন্ত, মোহনচরণেরা।