Nisith-Rabindranath

নিশীথকে হারিয়ে ‘ব্রতভঙ্গ’! ৩ মাস পর দলীয় কর্মীদের সামনে মৎস্যমুখ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী

কোচবিহারের রাজনীতিতে রবীন্দ্রনাথ-নিশীথ বিরোধ দীর্ঘ দিনের। নিশীথ এক সময় জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তখন থেকেই ‘রবীন্দ্রনাথ-বিরোধী’ বলে পরিচিত তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪ ২৩:২৬
Share:

(বাঁ দিকে) নিশীথ প্রামাণিক এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, লোকসভা ভোটে কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিককে না-হারানো পর্যন্ত তিনি মাছ-মাংস ছোঁবেন না! সেই বাসনা পূরণ হওয়ায় তিন মাস পর দলীয় কর্মীদের সামনে মাছ খেয়ে ব্রতভঙ্গ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

Advertisement

কোচবিহারের রাজনীতিতে রবীন্দ্রনাথ-নিশীথ বিরোধ দীর্ঘ দিনের। নিশীথ এক সময় জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তখন থেকেই ‘রবীন্দ্রনাথ-বিরোধী’ বলে পরিচিত তিনি। পরে দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। বিজেপিতে গিয়ে সাংসদ হন নিশীথ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় ভোট প্রচারে রবীন্দ্রনাথ-নিশীথ বাগ্‌যুদ্ধে চরমে পৌঁছেছিল। শেষ পর্যন্ত নিশীথ কোচবিহারে জিতেছিলেন। পাঁচ বছর কেন্দ্রে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। এ বার তাঁকে যেন-তেন প্রকারে হারানোই লক্ষ্য ছিল রবির। নিশীথ হেরেছেন। প্রায় ৪০ হাজার ভোটে তাঁকে হারিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া। রবিবার তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিলেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই অনুষ্ঠানেই অবশেষে আমিষ খেলেন রবি।

মৎস্যমুখ করে রবি বলেন, ‘‘গত ১৩ এপ্রিল কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার সঙ্গে যখন মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিতে যাই, তখন ঠাকুর মদনমোহনের কাছে আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়াকে যত দিন পর্যন্ত জয়ী করতে না পারছি, তত দিন পর্যন্ত মাছ-মাংস খাব না। কোনও কারণবশত যদি জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়াকে জেতাতে না পারি, তা হলে সারা জীবন মাছ-মাংস খাব না। সেই প্রতিজ্ঞা ধরে রেখে আমি এত দিন নিরামিষ খেয়ে ছিলাম। মাছ-মাংস খাইনি। জেলা সমস্ত স্তরের কর্মীরা আজ এসেছেন। তাঁদের সামনে মাছ খেয়ে সেই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করলাম।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement