ত্রিপুরায় সাংবাদিক সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করলেন রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। নিজস্ব চিত্র
বাংলার পথেই ত্রিপুরায় নেতাদের কর্মসূচি বেঁধে দিল তৃণমূল। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে রাতে নিচুতলার কর্মীদের বাড়িতে থেকে খেয়ে জনসংযোগ করবেন তাঁরা। এর জন্য ১০টি গাড়ি ওই রাজ্যে পাঠানো হয়েছে তৃণণূলের তরফে।
উনিশের ভোট বিপর্যয়ের পর ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ‘দিদিকে বলো’-র দাওয়াই দিয়েছিলেন বাংলার তৃণমূল নেতাদের। সেই কর্মসূচিতে বাংলার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছিলেন তিনি। সঙ্গে মন্ত্রী-বিধায়ক-নেতা-যুবনেতাদের পাঠিয়েছিলেন নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে তাদের সঙ্গে থাকতে। ত্রিপুরায় নতুন ইনিংস শুরু করার আগেই তৃণমূলের হয়ে জমি বুঝে আসতে গিয়েছিলেন আইপ্যাকের প্রতিনিধিরা। ব্যাপক হেনস্তার শিকার হওয়ার পর তাদের উপস্থিতি নিয়ে এখন আর উচ্চবাচ্য শোনা যায় না ত্রিপুরায়।
দলীয় কর্মসূচির জন্য কলকাতা থেকে পাঠানো হল ১০টি গাড়ি। নিজস্ব ছবি
বৃহস্পতিবার আগরতলায় একটি বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে সুস্মিতা দেব, আশিসলাল সিংহরা যে কর্মসূচি ঘোষণা করলেন, তাতে লক্ষ্য করা গিয়েছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ছায়া। সুস্মিতা জানিয়েছেন, আগামী ১০ দিন তাঁরা ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা নিচুতলার কর্মীদের বাড়ি গিয়ে রাতে খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি থাকবেনও। পরদিন সেখান থেকেই স্থানীয় হাটে বা বাজারে গিয়ে আম জনতার সঙ্গে আলাপচারিতা সারবেন। পুজোর আগেই ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের স্টিয়ারিংয়ের কমিটির সঙ্গে যুব সংগঠনের কমিটিও ঘোষণা করেছে কালীঘাট। সেই নেতাদেরই তিন দলে বিভক্ত করে এই কর্মসূচি পালন করবেন নেতারা।