Abhishek vs. Suvendu

কাঁথি বনাম ডায়মন্ড হারবার: অভিষেক-শুভেন্দু দূর-দ্বৈরথে শনিবারের বারবেলার উত্তাপ

দূর-দ্বৈরথে শনিবারের বারবেলার উত্তাপ ছিল চরমে। অভিষেক এবং শুভেন্দু — দুই নেতার দ্বৈরথের সাক্ষী হওয়ার পর বাড়ির পথে পা বাড়ানো জনতা কী পেল? খুঁজে দেখল আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:০০
Share:

কাঁথির পিকে কলেজের মাঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (বাঁ দিকে), ডায়মন্ড হারবারের সভায় শুভেন্দু অধিকারী (ডান দিকে)। — নিজস্ব ছবি।

কাঁথি এবং ডায়মন্ড হারবার। শনিবার রাজ্য রাজনীতির বাগ্‌যুদ্ধের দুই ভরকেন্দ্র। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির পাড়ায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সাংসদ অভিষেকের লোকসভা কেন্দ্রে শুভেন্দু। দুই সভারই মঞ্চ থেকে একে অপরকে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ। হুমকি, পাল্টা হুমকি। দূর-দ্বৈরথে শনিবারের বারবেলার উত্তাপ ছিল চরমে। দুই নেতার দ্বৈরথের সাক্ষী হওয়ার পর বাড়ির পথে পা বাড়ানো জনতা কী পেল? খুঁজে দেখল আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

অভিষেক: দুপুর পৌনে ৩টে নাগাদ কাঁথির সভামঞ্চের বেশ খানিকটা আগেই দাঁড়িয়ে গেল অভিষেকের গাড়ি। তৃণমূলের সাংসদ নেমে সটান চলে গেলেন গ্রামবাসীদের মধ্যে। কথা বললেন, শুনলেন, নিজে ঘুরে দেখলেন। তার পর গেলেন কাঁথির সভামঞ্চে।

শুভেন্দু: বেহালার বাড়ি থেকে বেরোলেন দুপুর ২টো নাগাদ। গাড়িতে ওঠার আগে আক্রমণ শানালেন রাজ্য সরকার, তৃণমূল এবং অভিষেকের বিরুদ্ধে। দিলেন তাঁর বাড়ির সামনে অভিষেকের সভা নিয়ে আবার হাই কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও।

Advertisement

অভিষেক: দুপুর ৩টে ১০মিনিট।

শুভেন্দু: দুপুর ৩টে ১৩মিনিট।

অভিষেক: পরনে কালো কটন ট্রাউজার্সের উপর নীল ফুলস্লিভ শার্ট। চোখে রেট্রো ফ্রেমের চশমা। হাতে কালো মোবাইল ফোন।

শুভেন্দু: সাদা পাজামা, পাঞ্জাবি। তার উপর ঘিয়ে রঙের নেহরু জ্যাকেট। গলায় গেরুয়া উত্তরীয়। কপালে গেরুয়া তিলক।

অভিষেক: কাঁথির পিকে কলেজের মাঠ ছাপিয়ে কালো মাথার ঢল। তৃণমূলের হিসাব লক্ষাধিক। পুলিশ বলছে, ৭৫ থেকে ৮০ হাজার। মাঠ ভরে যাওয়ায় কিছু মানুষ বাইরেও ছিলেন।

শুভেন্দু: ডায়মন্ড হারবারের কেল্লার মাঠে হাজার কুড়ি মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। লোকসমাগম নিয়ে পুলিশের বক্তব্য জানা যায়নি।

অভিষেক: দুপুর ৩টে ২৪ মিনিট।

শুভেন্দু: দুপুর ৩টে ১৫ মিনিট।

অভিষেক: কমবেশি ৯০ মিনিট। অর্থাৎ, একটা ফুটবল ম্যাচ যতক্ষণ চলে— অন্তত দেড় ঘণ্টা।

শুভেন্দু: ৩০ মিনিটের সামান্য বেশি। একটা ফুটবল ম্যাচের একটি অর্ধের চেয়ে ১৫ মিনিট কম।

অভিষেক: কাঁথির সভাস্থলে যাওয়ার আগে মারিশদার যে গ্রামে ঢুকে পড়ে অভিযোগ শুনেছিলেন, তার পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান এবং অঞ্চল সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করলেন মঞ্চ থেকে।

নিজের ফোন নম্বর জানিয়ে দিলেন সভায়। ৭৮৮৭৭-৭৮৮৭৭। বললেন, ‘‘চমকালে, ধমকালেই আমাকে সরাসরি ফোন করবেন।’’

শুভেন্দু: আধ ঘণ্টার বক্তৃতা শেষ করে বসে পড়লেন মঞ্চে। তার আগে বললেন, ‘‘আমি আরও ৪০ মিনিট আছি। আপনারা ভালয় ভালয় বাড়ি ফিরুন। তার পর আমি বাড়ি ফিরব। পরের বার থেকে পাঁচটা করে ট্রেন আনব। ট্রাক, টেম্পোতে আপনাদের আসতে হবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement