State News

কোন্নগরের কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তাণ্ডব, অধ্যাপককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার দুপুরে। টিএমসিপি-র সমর্থক ছাত্রছাত্রীদের একাংশের দাবি, এ দিন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শেষ পরীক্ষা ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৯ ২২:০৮
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের তাণ্ডব এবং গুন্ডাগিরির সাক্ষী রইল হুগলির কোন্নগরের হীরালাল পাল কলেজ। কলেজের ছাত্রীদের আটকে রাখা থেকে শুরু করে অধ্যাপককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল ওই কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর ছাত্র সংসদের সদস্যদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার দুপুরে। টিএমসিপি-র সমর্থক ছাত্রছাত্রীদের একাংশের দাবি, এ দিন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শেষ পরীক্ষা ছিল। তার পরেই ওই ক্লাসের কয়েক জন ছাত্রী বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে সেলফি তোলে বলে অভিযোগ। কলেজের ছাত্রদের একাংশের দাবি, এই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মলয় রায়কে অভিযোগ জানান স্লাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের ছাত্ররা। তার পর মলয়বাবু দুই পক্ষকেই ডেকে মিটমাট করে দেন।

অভিযোগ, এর পরেই স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং টিএমসিপি সম্পর্কে কটূ মন্তব্য করেন। তা কানে যেতেই রে রে করে তেড়ে যান ছাত্র সংসদের সদস্যরা। স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রীদের দাবি, ছাত্র সংসদের সদস্যরা তাঁদের প্রথমে ক্ষমা চাইতে বলেন। এর পর টিএমসিপি জিন্দাবাদ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বলতে বলেন। স্লোগান দিতে অস্বীকার করলে ওই ছাত্রীদের আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘নারদ কেলেঙ্কারির পরেও রুদ্রনীলের মনে হয়নি, মোহভঙ্গ হওয়া উচিত?’

কলেজের ছাত্রদের সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা বিষয়টির প্রতিবাদ করেন বাংলার শিক্ষক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। তিনি আটকে থাকা ছাত্রীদের নিয়ে বেরোতে গেলে শুরু হয়ে যায় বচসা। অভিযোগ, ছাত্র সংসদের সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়ে অধ্যাপকের উপর। তাঁকে লক্ষ্য করে কলেজের গেটের সামনেই উড়ে আসে এলোপাথাড়ি কিল, চড়, ঘুসি। বেধড়ক মার খাওয়ার পর কোনও মতে সেখান থেকে বেরোতে পারার পর উত্তর পাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুব্রতবাবু।

আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি নামতে পারে শুক্রবার, অনাবৃষ্টির দক্ষিণবঙ্গে আশা দেখাচ্ছে নতুন নিম্নচাপ

তবে গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছে টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদ। তাদের পাল্টা অভিযোগ, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ কলেজে ইউনিট খোলার চেষ্টা করছিল। তাতে বাধা দেন কয়েকজন ছাত্র। এই নিয়ে বচসার শুরু। তার মধ্যেই ওই অধ্যাপক কয়েক জন ছাত্রীরে মারেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। ছাত্র সংসদের এক পদাধিকারী বলেন, “অধ্যাপক কয়েক জন ছাত্রীকে মারায় উত্তেজিত হয়ে ওঠে কয়েকজন ছাত্র। তারাই হয়তো ধাক্কা দিয়ে থাকবেন অধ্যাপককে।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, তারা গোটা ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত নয়।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement