শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাকরি থেকেই সাসপেন্ড। — ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হুগলির যুব তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে মঙ্গলবারই। এ বার তাঁকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করল রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদের কর্মী ছিলেন শান্তনু। হুগলির বলাগড়ের সোমড়াবাজারে তাঁর অফিস। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মত, নেতা হওয়ার পর নিয়মিত অফিসে দেখাও যেত না তাঁকে।
সোমড়াবাজারের কোলড়া মোড়ে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদের দফতর। সেখানেই চাকরি করতেন শান্তনু। তাঁর বাবা জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদের কর্মী। ২০০৮ সালে বাবার মৃত্যুর পর সেই চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। শান্তনুর বাবা ছিলেন হেড ক্লার্ক। স্নাতক ডিগ্রি না থাকায় তার চেয়ে নিচু পদে কাজ পান শান্তনু। তাঁর চাকরিজীবন শুরু হয়েছিল খানাকুল থেকে। পরে তিনি চলে আসেন বাড়ির কাছে সোমড়াবাজারে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রথম প্রথম নিয়মিত অফিসে আসতেন তিনি। এর পর ২০১৪ সালে হুগলি জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি হন শান্তনু। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এর পর থেকেই ‘চালচলন’ বদলে যায় ওই যুব নেতার। কারও কারও বক্তব্য, সেই সময় কালো এসইউভি চড়ে অফিসে যেতেন তিনি। সঙ্গে সবসময় থাকতেন ৪-৫ জন নিরাপত্তারক্ষী।
এর পর রাজনৈতিক ব্যস্ততা আরও বেড়ে যায় শান্তনুর। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারকেশ্বরের জেলা পরিষদ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তিনি। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্মাধ্যক্ষও হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ার পর থেকে অফিসে যাওয়া কমে গিয়েছিল তাঁর। মাসে এক-আধ দিন অফিসে গেলেও মিনিট দশেকের জন্য তাঁর দেখা পাওয়া যেত বলে জানিয়েছেন অনেকে। ওই অফিসে তাঁর নিজস্ব ঘর ছিল বলেও জানাচ্ছেন অনেকে।
ইডির গ্রেফতারের ৪ দিনের মাথায় শান্তনুকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। ইডি সূত্রে খবর, এই খবর শুনে বিস্মিত হয়ে যান তিনি। সেই শান্তনুকে এ বার সাসপেন্ড করল বিদ্যুৎ পর্ষদ। সাসপেন্ড থাকাকালীন প্রাপ্য সংক্রান্ত নিয়মাবলি জারি হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।