অনুব্রতের বোলপুরের বাড়ির ছাদে প্যান্ডেল বাঁধার কাজ শুরু হয়েছিল রবিবার থেকেই। ফাইল চিত্র।
দাদার ফেলে যাওয়া কাজ শেষ করলেন তাঁর ভাইরা। বীরভূমের তৃণমূলের নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে তাঁর কল্যাণ কামনায় যজ্ঞের আয়োজন করলেন তাঁর অনুগতরা। গ্রেফতার হওয়ার বেশ কিছু দিন আগে এই যজ্ঞের পরিকল্পনা করেছিলেন অনুব্রত নিজেই। তাঁর সেই ইচ্ছেপূরণ করলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয় যজ্ঞের আয়োজন। অনুব্রতের বোলপুরের বাড়ির ছাদে প্যান্ডেল বাঁধার কাজ শুরু হয়েছিল রবিবার থেকেই। সোমবার তাঁর বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায় পাঁচ জন পুরোহিতকে। সূত্রের খবর, যজ্ঞের সঙ্কল্প হয়েছে কেষ্টর নামেই।
উল্লেখ্য, রবিবার বিকেলেই তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে সওয়াল করেছিলেন অনুব্রতের হয়ে। বেহালার একটি জনসভায় উপস্থিত নেত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন অনুব্রতকে গ্রেফতার করা হল? এমনকি, ‘একটা কেষ্টকে ধরলে লাখ লাখ কেষ্ট তৈরি হবে’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন মমতা। তার কয়েক ঘণ্টা পরই সোমবার সকালে অনুব্রতের বাড়িতে যজ্ঞের আয়োজনে দলীয় কর্মীদের ভিড় দেখা যায়।
রবিবার থেকেই অনুব্রতের নিচুপট্টি এলাকার বাড়িতে নতুন করে প্যান্ডেল বাঁধার কাজ শুরু হয়েছিল। আয়োজনে ছিলেন দলের কর্মীরাই। সোমবার সকালে সেখানে পুরোহিতদের সঙ্গে খোল বাজিয়ে, কীর্তন গাইয়েদেরও একে একে ঢুকতে দেখা যায়। আসেন বীরভূমের বহু তৃণমূল নেতা। হাজির ছিলেন সাংসদ অসিতকুমার মাল। তবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে দেখা যায়নি। এই চন্দ্রনাথ ছিলেন অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত ছিলেন তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী।
ছুটির দিন দেখে বাড়িতে যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন অনুব্রতই। বরাবরই দেবদ্বিজে ভক্তি দেখা গিয়েছে তাঁর। অনুব্রতের ঘনিষ্ঠরা বলেন, নিয়ম করে রোজ ঠাকুরঘরে যেতেন তৃণমূল নেতা। প্রতি দিন ভোরে কালীর পুজোও করতেন। সূত্রের খবর, সিবিআই যে দিন অনুব্রতকে তাঁর বাড়িতে গিয়ে আটক করে তখনও বাড়ির দোতলায় ঠাকুরঘরেই বসেছিলেন তিনি। তাঁর ইচ্ছে ছিল শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার (যা কিনা শিবপুজোর জন্য পবিত্র দিন বলে গণ্য হয়) তিনি যজ্ঞ করবেন। বাড়িতে প্যান্ডেল বাঁধার কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কেষ্ট গ্রেফতার হওয়ায় পরিকল্পনা বাতিল হয়।