লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী মোদী। ছবি— পিটিআই।
লালকেল্লার ফটক থেকে টেলিপ্রম্পটার সরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফিরলেন কাগজে লেখা নোটে। ইদানীং যা করতে দেখা যায়নি তাঁকে। সোমবার দিল্লির লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন গাঁধী থেকে নেতাজি, ভগৎ সিংহকে। কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করলেন নেহরু, সাভারকরকেও।
এই নিয়ে নবম বার লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের দিন দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কিন্তু এ বারের বক্তৃতা শুরু থেকেই ছিল একটু অন্য রকম। ইদানীং যে টেলিপ্রম্পটার ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে মোদীকে দেখা গেল তা ছেড়ে কাগজে লেখা নোটে ফিরতে। ঠিক যেমনটা তাঁকে দেখা যেত গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও তাঁকে কাগজে লেখা নোট নিয়েই ভাষণ দিতে দেখা যেত। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে টেলিপ্রম্পটার ব্যবহার করতেই স্বচ্ছন্দ হন তিনি।
দেশের ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের দেশ কৃতজ্ঞ গাঁধীজি, ভগৎ সিংহ, রাজগুরু, রামপ্রসাদ বিসমিল, রানি লক্ষ্মীবাই, সুভাষচন্দ্র বসু-সহ সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীর কাছে, যাঁরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। স্বাধীন ভারতের কারিগরদের মধ্যে আরও অনেকের সঙ্গে জওহরলাল নেহরু, রামমনোহর লোহিয়া এবং সর্দার বল্লভভাই পটলকেও আজ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি।’’
নিজের ৮৩ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী দিলেন জয় জওয়ান, জয় কিসান, জয় বিজ্ঞান এবং জয় অনুসন্ধান (গবেষণা)-এর স্লোগান। ২১ বার তোপধ্বনি দেওয়া হয়। তার পরই টেলিপ্রম্পটার সরিয়ে রেখে দেশবাসীকে স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজের বক্তব্য শুরু করেন মোদী।