Cooperative Election

শুভেন্দুর জেলায় ধরাশায়ী রাম-বাম জোট, সমবায় দখল নিয়ে পঞ্চায়েতের ‘বদলা’ নিল শাসকদল

নির্বাচন পর্ব মিটতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও এই ভোটের ফলাফলকে ‘হার’ বলে মানতে নারাজ বিজেপি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

মহিষাদল শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১৬
Share:

শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহিষাদল বিধানসভার রমণীমোহন মাইতি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের। এ বার সেই পঞ্চায়েত এলাকার জনপ্রিয় দক্ষিণ কাশিমনগর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে ‘রাম-বাম’ জোটকে ধরাশায়ী করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এল শাসকদল সমর্থিত প্রতিনিধিরা। সমবায়ের ৬১টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৩৬টি আসন এবং বাম ও বিজেপির জোটের দখলে গিয়েছে ২৫টি আসন। নির্বাচন পর্ব মিটতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও এই ভোটের ফলাফলকে ‘হার’ বলে মানতে নারাজ বিজেপি। তাদের মতে, প্রথম বার এখানে তৃণমূল বিরোধী জোট প্রার্থীরা জিতেছেন। এ বার তাঁরা বিরোধী আসনে বসার সুযোগ পাবেন।

Advertisement

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের এই সমবায়ের ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৩০০ জন। ৬১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ১২২ জন। এই নির্বাচনে নন্দকুমার মডেলে লড়েছিল রাম-বাম জোট। যদিও সেই কৌশল কাজে এল না। গত বিধানসভা নির্বাচনের পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহিষাদল বিধানসভা এলাকায় বিজেপির উত্থান ছিল নজরকাড়া। খুব অল্প ব্যবধানে বিধানসভা ভোটে জিতেছিল তৃণমূল। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইটামগরা ২, রমণীমোহন মাইতি (ইটামগরা ১), বেতকুণ্ডু, লক্ষ্যা ১ ও অমৃতবেড়িয়া অঞ্চল তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। সেই এলাকারই অধিকাংশ সমবায় নির্বাচনে রাম-বাম জোটের বিরুদ্ধে জয় বাড়তি অক্সিজেন ফিরে পাওয়া গেল বলে মনে করছে শাসক শিবির।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের মানসকুমার পণ্ডার দাবি, ‘‘আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের এই প্রত্যাবর্তনে দলের কর্মীরা পুনরুজ্জীবিত। আগামী নির্বাচনে মহিষাদল বিধানসভা থেকে তৃণমূল ব্যাপক লিড পাবে বলেই আমরা আশাবাদী।’’ অন্য দিকে ইটামগরা ২ পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপি নেতা রামকৃষ্ণ দাসের দাবি, ‘‘এই ফলাফল বিজেপির নৈতিক জয়। এর আগে দক্ষিণ কাশিমনগর সমবায়ে বিজেপির প্রতিনিধি ছিল না। এ বার সেখানে ২৫ জনকে নিয়ে বিরোধী আসনে বসছি আমরা। আগামী দিনে আমরা সমবায়ের উন্নয়নে সাধারণ মানুষের দাবি তুলে ধরব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement