নারদ-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হওয়ার পরে আক্রমণাত্মক অবস্থানই নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার বিরোধীদের মোকাবিলায় পথেও নামতে চলেছে শাসক দল। যাতে নারদ-কাণ্ডে তৃণমূল কোণঠাসা, এই বার্তা জনমানসে জাঁকিয়ে না বসে।
কলকাতায় বামফ্রন্টের মহামিছিল ২৯ মার্চ। তার পরদিন থেকেই বিভিন্ন শাখা সংগঠনকে পরপর রাস্তায় নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।৩০ মার্চ, বৃহস্পতিবার কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করবে তৃণমূলের মহিলা শাখা। পরের দিন শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা, পথে নামবে কলকাতা জেলা তৃণমূল। তার পরে ৩ এ্রপ্রিল দলের যুব শাখা যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করবে।
নারদ-কাণ্ডে তাঁদের ‘ফাঁসানো’র পিছনে বিজেপির সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলে তৃণমূলের নেতাদের অভিযোগ। সেই অভিযোগে মানুষকে সরব হওয়ার আর্জি জানানো হবে। সারদা এবং রোজভ্যালি কাণ্ডে সিপিএমের নেতাদেরও দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানো হবে মিছিলে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের যদিও প্রশ্ন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ভেবেছিলেন, কেডি সিংহ ভাল লোক। কারণ, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে ওঁর ছবি আছে। বুদ্ধবাবু এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে এত কথা বলে এখন বুদ্ধবাবুকেই কষ্টিপাথর মনে হল?’