কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আলোচনায় অংশ নেবেন তৃণমূল বিধায়করা। ফাইল চিত্র।
সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পাঞ্জাবে বিএসএফের এলাকা বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। বাংলায় আগে যা ছিল ১৫ কিলোমিটার। এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে চলেছে তৃণমূল পরিষদীয় দল। সোমবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনের শেষে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিধানসভায় প্রস্তাব আনবেন তাঁরা। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আলোচনায় অংশ নেবেন তৃণমূল বিধায়করা। পাশাপাশি, পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধেও প্রস্তাব এনে আলোচনা করবে তৃণমূল পরিষদীয় দল। আগামী ৮ নভেম্বর বিধানসভায় বিজনেস অ্যাডভাইসারি কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবগুলি কবে আলোচনা হবে, তা ঠিক করা হবে।
অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে, এমন তিন রাজ্যে ক্ষমতা বাড়ে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ-এর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, পঞ্জাব, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফ গ্রেফতার, তল্লাশি এবং বাজেয়াপ্ত করার কাজ করতে পারবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, জাতীয় সুরক্ষার দিকে লক্ষ রেখে সীমান্ত সংলগ্ন স্পর্শকাতর রাজ্যগুলোতে বেআইনি কার্যকলাপ রোধে এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়।
ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিতে সরব হয়েছেন তৃণমূল রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে যেখানে ১৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হল, সেখানে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতে কেন তা ৮০ থেকে কমিয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হল? এ বার সেই বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে চলেছে বাংলার শাসক দল। যদিও, এই আলোচনায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপি অংশ নেবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, উৎসবের মরসুমের কারণে বিধানসভা অধিবেশনের শেষ তিন দিন অংশ নেবেন তাঁরা।