রাজ্যের পঞ্চায়েতে ২০ হাজার আসন বেড়েছে। ফাইল চিত্র।
ভোটার তালিকায় অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে প্রচারে নেমেছে বিরোধীরা। এ বার সেই প্রচারের পাল্টা প্রচারে নামার কৌশল নিল শাসকদল তৃণমূল। নতুন বছরের ৫ জানুয়ারি বিধানসভা ভিত্তিক নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তারপরেই বিরোধী দল বিজেপি এ বিষয়ে অভিযোগ আনে, রাজ্যের ভোটার তালিকায় ১১ শতাংশ ভোটার বৃদ্ধি হয়েছে শাসকদল তৃণমূলের সৌজন্যে। এর বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।
বিজেপির অভিযোগ, ভোটার তালিকায় যেমন স্থান দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশি বহিরাগতদের, তেমনই জায়গা দেওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করতেই অসাধু উপায়ে ভোটার তালিকায় অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি ঘটিয়েছে তৃণমূল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ মূলত এই প্রচারকে সামনে রেখে সোচ্চার হয়েছেন। বিরোধীদের এই একতরফা প্রচারের জবাব দিতে তাই জেলা সংগঠনের দায়িত্বে থাকা পদাধিকারীদের লিখিত ভাবে নির্দেশ পাঠিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। সেই নির্দেশ গিয়েছে জেলা তৃণমূলের সভাপতি, চেয়ারম্যান, বিধায়ক ও সাংসদদের কাছে।
যেখানে বিরোধী দলগুলি এই ধরনের প্রচার করছে বলে অভিযোগ, সেখানেই পাল্টা প্রচারে নামতে বলা হয়েছে জেলা নেতৃবৃন্দকে। কী ভাবে ভোটার বেড়েছে, তাও ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘এ বার রাজ্যের পঞ্চায়েতে ২০ হাজার আসন বেড়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী খসড়া ভোটার তালিকায় নতুন কোনও নাম সংযোজন বা বাদ দেওয়া যাবে না। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের নিয়ম মেনে ভোটার লিস্ট বিভাজনের সময় ত্রুটিবশত যদি কোনও নাম বাদ গিয়ে থাকে, তা হলে সেই দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে তা আবারও যুক্ত করতে হবে। সেই নিয়মে নতুন ভোটার তালিকা তৈরির সময় যাদের নাম বাদ গিয়েছিল, তাদের নাম ভোটার তালিকায় তোলা হয়েছে।’’ তাতেই ভোটার সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আর সেই পরিসংখ্যানকে নিয়ে অপপ্রচার করছে বিজেপি, এমনটাই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।
বিজেপির সেই প্রচারের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচার করবে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গ সরাসরি স্বীকার না করতে চাইলেও তিনি যে দলের সর্বস্তরের নেতৃত্বকে ভোটার তালিকা নিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত। তিনি বলেন, ‘‘দলের নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীবৃন্দকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে তাঁরা যেন ভোটার তালিকা নিয়ে বিশেষ ভাবে মনোনিবেশ করেন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে প্রস্তুত ভোটার তালিকা সম্বন্ধে সক্রিয় ভাবে ওয়াকিবহাল হন।’’