ছবি: পিটিআই।
মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশুর বিধায়কৃপদ খারিজের আবেদন করবে তৃণমূল। সেই সঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া আরও তিন বিধায়কেরও একই শাস্তি চায় শাসক দল। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত হয়েছে। সময়মতো দল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।
দল-বিরোধী কাজের অভিযোগে আগেই শুভ্রাংশুকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছিল তৃণমূল। এ বার দলত্যাগের অভিযোগে তাঁর বিধায়ক-পদ খারিজের আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, তৃণমূলের পরিষদীয় দলের তরফে এই আবেদন করলে তা বিবেচনা করবেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, শুধু শুভ্রাংশুই নয়। বিজেপিতে যোগ দেওয়া আরও তিন বিধায়ক লাভপুরের মনিরুল ইসলাম, নোয়াপাড়ার সুনীল সিংহ এবং বনগাঁর (উত্তর) বিশ্বজিত দাসেরও একই শাস্তি চাইছে তৃণমূল। তার আগের পদক্ষেপ হিসেবে শুক্রবারই পরিষদীয় দলের সঙ্গে ওই বিধায়কদের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে চাঁদার তালিকা থেকে এই তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে চিঠি দিয়েই তাঁদের বেতন থেকে মাসিক চাঁদা না-কাটার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দলত্যাগীদের সদস্যপদ খারিজের এই উদ্যোগের পরে সামনে আসছে কংগ্রেসের অভিযোগগুলিও। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া বেশ কয়েক জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের আবেদন জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে। তার মধ্যে কয়েকটি নিয়ে আদালতেও মামলা করা হয়েছে। তবে কোনওটিরই নিষ্পত্তি হয়নি। এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলেও আলোচনা হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, শুভ্রাংশু-সহ অন্য দলত্যাগীদের সদস্যপদ খারিজের ক্ষেত্রে তারা এই বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন না। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা বিধায়কেরা সে ক্ষেত্রে কংগ্রেসে ফিরে গেলে আপত্তির কিছু নেই। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ভাবে তা ভালই হবে।’’
দলত্যাগী বিধায়কদের পদ খারিজের আবেদন করলেও তৃণমূল জানে, তাতে সময় লাগবে। বিধানসভার বিধি অনুযায়ী শুনানি হবে। তার পরেই সিদ্ধান্ত জানাবেন স্পিকার।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।