তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
গত এক মাসে আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে রাজ্যকে দিয়ে তিনটি কড়া ‘অ্যাডভাইসরি’ পাঠিয়েছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এক দিকে নবান্ন থেকে প্রশাসনিক ভাবে অন্য দিকে সংসদে রাজনৈতিক ভাবে সেই বার্তা মোকাবিলার কৌশল নিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
সন্দেশখালির ঘটনার পরে প্রথম ‘অ্যাডভাইসরিটি’ পাঠিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তার উত্তরে রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে কেন্দ্রকে জানিয়েছিলেন, কোনও অবস্থাতেই এটা বলা যায় না যে, রাজ্য প্রশাসন আইনের শাসন বজায় রাখতে এবং মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে ব্যর্থ। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের সময় ফের ‘অ্যাডভাইসরি’ পাঠায় কেন্দ্র। তার পরে পরেই আসে রাজ্যের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আরও একটি ‘অ্যাডভাইসরি’। প্রশাসনের অন্দরের খবর, এ বার উত্তর দেওয়ার আগে কেন্দ্রের দাবি বা অভিযোগের সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে রাজ্য।
নবান্নের আধিকারিকদের একাংশের ব্যাখ্যা, কেন্দ্র আইনশৃঙ্খলার কোনও ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক’ আখ্যা দিতেই পারে। কিন্তু বাস্তবে সেই সমস্যা আদৌ রাজনৈতিক, না অন্য কোনও কারণে, তা খতিয়ে দেখা দরকার। সব ধরনের ঘটনাকে একই বন্ধনীতে এনে রাজ্যকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত নয়। প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তার কথায়, ‘‘যে অ্যাডভাইসরি কেন্দ্র পাঠিয়েছে, তা বাস্তবের সঙ্গে নিলিয়ে দেখে তবে উত্তর দেওয়ার কথা ভাবা হবে।’’
অন্য দিকে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পিকার নির্বাচনের দিনেই কেন্দ্রের পাঠানো ‘অ্যাডভাইসরি’ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। শুক্রবার ওই প্রসঙ্গে আক্রমণ বজায় রাখলেন দলের আরেক বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। লোকসভার জিরো আওয়ারে সৌগতবাবু বলেন, ‘‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূলের অনুপস্থিত থাকার মূল কারণ ‘অ্যাডভাইসরি’। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফি সপ্তাহে ‘অ্যাডভাইসরি’ পাঠিয়ে যাবেন আর তৃণমূল দিল্লিতে সরকারকে সাহায্য করবে এমন হতে পারে না। যত দিন অ্যাডভাইসরি কেন্দ্র পাঠাবে, তত দিন সংসদে তৃণমূলের সাহায্য পাবে না সরকার।’’