রামনবমীতে সতর্কতা প্রশাসনে। ছবি: সংগৃহীত।
বৃহস্পতিবার রামনবমী ঘিরে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হলে সরকার চুপ থাকবে না। এ বার আগে থাকতেই সরকারের নীতি জানিয়ে সতর্ক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘‘কোনও রকম গোলমালের পরিবেশ তৈরি হলেই আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’
বৃহস্পতিবার রামনবমী। গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্য জুড়ে এক হাজারের বেশি জায়গায় বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ২০টি জায়গায় অস্ত্র মিছিলের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জেনেছে প্রশাসন। সে কথা জেনেই মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সতর্কতার কথা শুনিয়ে রেখেছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের পাশাপাশি এ বার বিজেপিও ঘোষিত ভাবে রামনবমীর কর্মসূচিতে যোগ দেবে বলে জানিয়েছে। আনন্দবাজার অনলাইন আগেই এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, কোনও মিছিল না করলেও দলের নেতাকর্মীরা গোটা রাজ্যেই বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। এমনই পরিবেশে মমতা জানালেন, মিছিলে প্রশাসন বাধা না দিলেও কোনও রকম গোলমাল হলেই আইনি পদক্ষেপ করা হবে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার রামনবমীতে তিনটি মিছিলে শামিল হবেন বলে জানিয়েছেন। নন্দীগ্রাম, হাওড়ার রামরাজাতলা ও কলকাতার রামলীলা ময়দানের রামনবমীর মিছিলে দেখা যাবে তাঁকে। এ ছাড়াও ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারে ধর্নারত সরকারি কর্মচারীদের কর্মসূচিতেও যোগ দেবেন তিনি। তাঁর এই সব কর্মসূচিতে রাজ্য প্রশাসনের নজর থাকবে বলেই সূত্রের খবর।
বুধবার মমতা বলেন, ‘‘মিছিল, মিটিং করার অধিকার সবার রয়েছে। রামনবমীর মিছিলে বাধা দেওয়া হবে না। কিন্তু রমজান মাসের মধ্যে কোনও মুসলিম এলাকায় গিয়ে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করলেই পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’’ এই প্রসঙ্গে নাম না করে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকেও আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির একজন নেতা আছেন যাঁর বক্তব্য টিভিতে রেকর্ড রয়েছে। তিনি বলেছেন, হাতের কাছে যা অস্ত্র পাব নিয়ে বেরবো। বলে রাখছি, যে কোনও অস্ত্র নিয়ে বের হও, কিন্তু গোলমাল পাকালেই পদক্ষেপ করা হবে।’’ একই সঙ্গে রামনবমী শান্তিতে পালনের আবেদন জানান। বলেন, ‘‘সবাই শান্তিতে রামনবমী পালন করুন, অন্নপূর্ণা পূজা পালন করুন, রমজান মাস পালন করুন।’’