(বাঁ দিকে) ২০২২ সালের খুঁটিপুজোর দিন পাশাপাশি পার্থ এবং বক্সী। (ডান দিকে) ২০২৩ সালের খুঁটিপুজোয় পার্থহীন অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত।
এক বছর আগে তিনি মঞ্চে ছিলেন। এক বছর পর তিনি জেলে। তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চের খুঁটিপুজোর অনুষ্ঠানে গত বার সুব্রত বক্সীর পাশাপাশি ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। এ বার পার্থ বন্দি। দল থেকেও বরখাস্ত। খুঁটিপুজোর ফ্রেমে স্বভাবতই বক্সীর পাশে এ বার তিনি অনুপস্থিত।
গত বছর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের পর দিনই তৃণমূলের জীবনে পার্থ-‘ধাক্কা’র সূত্রপাত। ২২ জুলাই সকালে ইডি হানা দিয়েছিল দলের তৎকালীন মহাসচিব এবং রাজ্যের মন্ত্রী পার্থের নাকতলার বাড়িতে। ২৩ তারিখ সকালেই গ্রেফতার হন পার্থ। এখনও জামিন পাননি তিনি। জামিন পেলেও তাঁকে এই অনুষ্ঠানে দেখা যেত কি না সন্দেহ।
২০২২ সালের খুঁটিপুজোয় সুব্রত বক্সীরা পাশে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
শুক্রবার দুপুরে খুঁটিপুজো করে মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হল ধর্মতলা মোড়ে। খুঁটিপুজো করলেন শাসকদলের রাজ্য সভাপতি, তৃণমূলের ‘বক্সীদা’। পাশে ছিলেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ, সাংসদ শান্তনু সেন, দলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ অনেকেই। প্রতি বারের মতো কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরদের ভিড় ছিল বক্সীদের ঘিরে। কিন্তু সে ভাবে দেখা গেল না বেহালার পার্থ ঘনিষ্ঠ নেতাদের। তৃণমূল নেতৃত্ব আশাবাদী, এ বারও রেকর্ড ভাঙা ভিড় হবে সমাবেশে।
শুক্রবার ২০২৩-এর ২১ জুলাইয়ের মঞ্চের খুঁটিপুজো। — নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের পর এ বারের ২১ জুলাই অনেকের কাছেই ‘বিজয় সমাবেশ’। যদিও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ২১ জুলাইকে ‘শহিদ তর্পণ’-এর দিন হিসাবেই দেখতে হবে। সঠিক সময়ে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট হলে তার আগে এটাই শেষ ২১ জুলাই। ফলে দেশের নির্বাচনের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে কী বার্তা দেন তা নিয়েও কৌতূহল রয়েছে। কৌতুহল রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা নিয়েও।
গত মাসে পটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাড়িতে দেশের ১৫টি অ-বিজেপি দলের নেতানেত্রীরা বৈঠকে বসেছিলেন। রাহুল গান্ধী, মমতা, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সীতারাম ইয়েচুরি, এমকে স্ট্যালিন, শরদ পাওয়াররা ছিলেন সেই বৈঠকে। মমতার সঙ্গী ছিলেন অভিষেক, ডেরেক ও’ব্রায়ান এবং ফিরহাদ হাকিম। আগামী ১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে ফের ওই বৈঠক বসতে চলেছে। তার পরই ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ। সেই মঞ্চ থেকে বাংলার কংগ্রেস-সিপিএমের উদ্দেশে তৃণমূলনেত্রী বা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কী বলেন, সে দিকেও চোখ থাকছে রাজনৈতিক মহলের।