ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের পর আবার একটি মৃত্যুর ঘটনা। এবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মারে জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তাদের এক প্রার্থী। শুক্রবার ভোলানাথ মণ্ডল নামে ওই বিজেপি প্রার্থীর ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুর-১ ব্লকের দড়িকাওয়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন ভোলানাথ। নিহত ভোলানাথের পরিবারের দাবি, ভোটপর্ব চলাকালীন বিজেপি প্রার্থীর উপর একাধিক বার হামলা চালায় শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভোটে পরাজিত হওয়ার পর ভয়ে ঘরে ঢুকতে পারেননি তিনি। তাঁর উপর হামলা হতে পারে ভেবে এলাকাছাড়া ছিলেন। তার মধ্যে শুক্রবার ভোরে অসুস্থ অবস্থায় ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরেই মৃত্যু হয় ভোলানাথের।
বিজেপি প্রার্থীর এই মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূলকে দায়ী করেন বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দীপক হালদার। তাঁর অভিযোগ, শাসকদলের খুনের রাজনীতির জন্য তাঁদের একের পর এক কর্মীর মৃত্যু হচ্ছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকে বার বার ভোলানথকে আক্রমণ করা হয়েছে। মৃত বিজেপি প্রার্থীকে দেখতে হাসপাতালে যান বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ সর্দারও। তাঁরা একযোগে তৃণমূল এবং পুলিশ প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছেন। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই ভাঙড়, ক্যানিং-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকা উত্তপ্ত। প্রাণও হারিয়েছেন কয়েক জন। মনোনয়ন পর্ব থেকে এ নিয়ে ৫০ জনের মৃত্যু হল। গত শনিবার ভোটের পর থেকে এ পর্যন্ত ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন।