বিজেপির এনআরসি তত্ত্বকে ‘কুমতলব’ বলল তৃণমূল

বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের যুক্তি, প্রথমত, জওহরলাল নেহরুর প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলে ১৯৫১ সালে ভারতে এনআরসি তৈরির কাজ শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:০৩
Share:

এনআরসি চূড়ান্ত তালিকা হাতে দাড়িয়ে আসামের এক মহিলা।—ছবি এপি।

জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-র বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব আসার আগের দিনই এনআরসি-র পক্ষে সওয়াল করল বিজেপি। শাসক তৃণমূল এবং দুই বিরোধী কংগ্রেস ও সিপিএমের ঐকমত্যের ভিত্তিতে আজ, শুক্রবার বিধানসভায় এনআরসি বিরোধী প্রস্তাব আসার কথা। বিরোধিতায় থাকবে একমাত্র বিজেপি। তার আগে বৃহস্পতিবারই তারা বলে দেয়, এনআরসি নিয়ে কংগ্রেস এবং তৃণমূল ‘দ্বিচারিতা’ করছে। অন্য দিকে, তৃণমূলের বক্তব্য, এনআরসি-র প্রক্রিয়ায় বিজেপির রাজনৈতিক কুমতলব স্পষ্ট।

Advertisement

বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের যুক্তি, প্রথমত, জওহরলাল নেহরুর প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলে ১৯৫১ সালে ভারতে এনআরসি তৈরির কাজ শুরু হয়। দ্বিতীয়ত, ১৯৮৫ সালে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধী নাগরিক পঞ্জি সংক্রান্ত যে অসম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, সেখানে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পর যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তৃতীয়ত, ২০০৫ সালে লোকসভায় মমতা স্বয়ং অবৈধ অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে সরব হন। অভিযোগ করেন, বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ব্যবহার করে সিপিএম ভোটে জয়ী হয়। এই প্রেক্ষিতে জয়প্রকাশবাবু বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে জবাব দিতে হবে, এই তিনটি ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও এখন তাঁরা অবস্থান বদলে এনআরসি-র বিরোধিতা করছেন কেন?’’ জয়প্রকাশবাবুর আরও বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বামেদের প্রস্তাব হতে পারত, এনআরসি লাগু করতে হবে নির্ভুল ভাবে। তারা গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের এনআরসি-র প্রয়োজনই নেই, এই কথাটা প্রস্তাবে লেখা হল কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যাতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আড়াল করে ভোটে কাজে লাগাতে পারেন, তার জন্যই কি এই কথা লিখতে হল?’’

বিজেপির ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায় বলেন, ‘‘জনমত খণ্ডন করতে বরাবর মিথ্যার রাজনীতি করেছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশের বিরোধিতা করেছিলেন। আর বিজেপি কেবলমাত্র ভোট-রাজনীতির স্বার্থে নাগরিক পঞ্জির নামে বিভাজনের পথ নিয়েছে। তাই অসমে ৪১ লক্ষের তালিকা নেমে এসেছে সাড়ে ১৯ লক্ষে। এখন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির পরিবার, সেনাবাহিনীর পরিবার ওই তালিকায় জায়গা না পাওয়ায় বিজেপির রাজনৈতিক কুমতলব স্পষ্ট হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement