Partha Chatterjee

উপাচার্য এবং ছাত্রদের পাশে তৃণমূল, কড়া বিবৃতিতে বোঝালেন পার্থ

বৃহস্পতিবার যে বিবৃতি তৃণমূলের তরফে প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে রাজ্যপালের ভূমিকা সম্পর্কে বেশ কঠোর পর্যবেক্ষণ ছিল। আজ অর্থাৎ শুক্রবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে বিবৃতি প্রকাশ করলেন, তাতে সে সব কথা আর নতুন করে লেখা হল না ঠিকই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:০৩
Share:

পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

দু’দিনে দু’বার কড়া বিবৃতি প্রকাশ করেছে রাজভবন। আক্রমণের সুর আরও চড়িয়েছে বিজেপি। কিন্তু তৃণমূলও ফের বিবৃতি প্রকাশ করে বুঝিয়ে দিল, বৃহস্পতিবারের অবস্থান থেকে পিছু হঠা হবে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এ দিন বিবৃতি দিয়ে আরও স্পষ্ট করে জানালেন, গোটা বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পাশেই দাঁড়াচ্ছে রাজ্যের শাসক দল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার যে বিবৃতি তৃণমূলের তরফে প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে রাজ্যপালের ভূমিকা সম্পর্কে বেশ কঠোর পর্যবেক্ষণ ছিল। আজ অর্থাৎ শুক্রবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে বিবৃতি প্রকাশ করলেন, তাতে সে সব কথা আর নতুন করে লেখা হল না ঠিকই। তবে পার্থ ওই বিবৃতি মারফৎ জানালেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে বৃহস্পতিবার যে অবস্থানের কথা তৃণমূল জানিয়েছিল, সেই অবস্থানেই দল অনড় থাকছে।

যাদবপুরে গতকাল বাবুল সুপ্রিয়কে যে ভাবে হেনস্থা ও নিগ্রহ করা হয়েছে, তার কোনও নিন্দা এই দিনের বিবৃতিতে নেই। বরং বিক্ষোভকারীদের তোলা অভিযোগকেই সমর্থন করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘‘যারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিগ্রহ করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ভাঙচুর চালিয়েছে, সেই অপরাধীদের শাস্তি দিতেই হবে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘হামলাকারী’দের হুঁশিয়ারি, নালিশ রাজভবনে গিয়েও, যাদবপুর কাণ্ডে সুর আরও চড়াল বিজেপি

আরও পড়ুন: যাদবপুরের হিংসা-তাণ্ডবের ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিশিষ্টজনেরা, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আবেদন

গতকাল বিক্ষোভকারীরাই কিন্তু আত্মপক্ষ সমর্থনে এই কথা বলেছিলেন। বাবুল সুপ্রিয়র রক্ষীরা এবং এবিভিপির লোকজন ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের মারধর করেছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বয়ানে হুবহু সেই কথা লেখা হয়নি ঠিকই। কিন্তু ওই পড়ুয়াদের উপরে হামলা হয়েছিল— এই অভিযোগকেই যে তৃমমূল সিলমোহর দিচ্ছে, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তো বটেই, বিজেপি-ও যাদবপুরের ঘটনায় কাঠগড়ায় তুলেছে রাজ্য প্রশাসনকে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় ঘটনা অত দূর গড়িয়েছে বলে বিজেপির দাবি। রাজভবনের পর্যবেক্ষণও সে রকমই। রাজভবন সূত্রে আরও জানানো হয় যে, উপাচার্যের ভূমিকায় রাজ্যপাল মোটেই খুশি নন। এ দিন বিজেপি-ও একই ভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিবৃতিতে ঠিক উল্টো সুর। তিনি লিখেছেন, ‘‘সুষ্ঠু ভাবে ভাবে সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে প্রশাসন খুব শান্তিপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘আমরা সম্পূর্ণ ভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপক, এবং ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে রয়েছি।’’

তৃণমূল যে রাজ্যপালের অবস্থানের বিরোধিতা করছে, সে কথা বুঝিয়ে পার্থ লিখেছেন, ‘‘আমরা চাই উপাচার্য, অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য রাজ্যপাল অবশ্যই ন্যায়ের ব্যবস্থা করুন। আমরা সব সময়ই শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের সঙ্গে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement