বৃহস্পতিবার সকালে টুইট করে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, এমনকিছু দলের অন্দরে আদৌ হয়নি। (গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ)
বকলমে তৃণমূলে ‘পর্যবেক্ষক’ পদ আদৌ ফিরিয়ে আনা হয়নি বলে দাবি করল শাসক তৃণমূল। বুধবার রাতে সংবাদমাধ্যমের একাংশে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সেই খবরের জেরে বৃহস্পতিবার সকালে টুইট করে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, এমনকিছু দলের অন্দরে আদৌ হয়নি। ওই টুইটে বলা হয়েছে, ওই খবর পুরোপুরি ‘ভিত্তিহীন’। লেখা হয়েছে, ‘বাংলার কয়েকটি জেলায় ‘পর্যবেক্ষক’ নিয়োগের যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। এ জাতীয় কোনও নিয়োগ (অ্যাপয়েন্টমেন্ট) দেওয়া হয়নি। এটি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে’।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলে ‘পর্যবেক্ষক’ পদ নিয়ে দীর্ঘদিন টানাপড়েন চলার পর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই পদটি তুলে দিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে, সেই পদ তুলে দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। তৃণমূল ছাড়ার আগে সেটি তিনি প্রকাশ্যে এবং দলের অন্দরে একাধিক আলোচনায় জানিয়েছিলেন। ফলে ‘পর্যবেক্ষক’ পদটি নিয়ে তৃণমূল ‘স্পর্শকাতর’।
দলের অন্দরে রাজনৈতিক সমীকরণও ওই পদটি ঘিরে একটা সময়ে আবর্তিত হত। সম্প্রতি মমতা বাঁকুড়ায় এক জনসভায় প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন, তিনিই গোটা বাংলায় দলের পর্যবেক্ষক। বলেছিলেন, এতদিন প্রশাসনের কাজ দেখতে গিয়ে দলের কাজ পুরোপুরি দেখতে পারেননি। এ বার থেকে দলের কাজেই বেশি মন দেবেন।
আরও পড়ুন: ফের প্রবীণেই আস্থা মমতার, দায়িত্ব বণ্টন জেলায় জেলায়
বুধবার রাতে তৃণমূল সূত্রেই জানা গিয়েছিল, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের সঙ্গে দুই দিনাজপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফিরহাদ হাকিমকে দেওয়া হয়েছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া ও হুগলি জেলার দায়িত্ব। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দায়িত্ব পেয়েছেন নদিয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার। টালিগঞ্জের বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে দুই বর্ধমান-সহ জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের দায়িত্বে আনা হয়েছে। ওই সূত্র পাশাপাশিই জানিয়েছিল, বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জেলার সভাপতিদের ওপরেই আস্থা রেখেছে দল। তাই দক্ষিণে শুভাশিস চক্রবর্তী, উত্তরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের হাতেই দলীয় সংগঠনের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শুভেন্দু
ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছিল, শীর্ষনেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হলেও ‘পর্যবেক্ষক’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালেই দলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল, সে সব কোনও নিয়োগই হয়নি। অর্থাৎ, এতদিন যেমন জেলা সভাপতিরা কাজ চালাচ্ছিলেন, তাঁরাই কাজ চালিয়ে যাবেন।