কুণাল বলেন যে, কর কেন্দ্র বেশি পায়। তাই তাদের ক্ষতি কম। গ্রাফিক — শৌভিক দেবনাথ।
দীপাবলি উপলক্ষে পেট্রল-ডিজেলে শুল্ক কমিয়ে কেন্দ্র বলেছে, এ বার রাজ্যের পালা। রাজ্য যুক্ত মূল্য কর বা ভ্যাট কমিয়ে আরও কমিয়ে দিক জ্বালানি তেলের দাম। বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে প্রথম প্রতিক্রিয়া জানাল তৃণমূল। সরাসরি কোনও সিদ্ধান্তের কথা না জানিয়ে দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইটারে লিখলেন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি কেন্দ্রের প্রাপ্য পায়। বাড়তি পায়। কর কমালেও পুষিয়ে দেয়। বাংলা বকেয়াই পায় না।’
কেন্দ্র তেলের উপর শুল্ক কমানোর পর দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি তেলের উপর ভ্যাট কমিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের উপরও তেলের দাম কমানো নিয়ে চাপ তৈরি হচ্ছিল। সেই প্রসঙ্গেই রাজ্যের অবস্থান ব্যাখ্যা করে কুণালের এই টুইট।
তেলের শুল্ক লাগাতার বাড়িয়ে তার পর নামমাত্র শুল্ক কমানোর অভিযোগ উঠেছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি এ নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মন্দের ভাল হয়েছে, তাকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৫ টাকা ছাড় দেওয়াকে কি কমানো বলে? উপনির্বাচনের ফল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গিয়েছে বলেই কি এখন কর কমানো হল? কেন্দ্রে এই সরকার আসার পরে পেট্রো-পণ্য থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ কোটি টাকা বাড়তি লুঠ করা হয়েছে।’’
কুণালও একই প্রসঙ্গ টেনে বৃহস্পতিবার লিখেছেন, ‘লাগাতার রেকর্ড দাম বাড়িয়ে মানুষের চোখে ধুলো দিতে কর কমানোর নাটক। আগে মূল দাম কমানো হোক।’ কুণাল এ-ও বলেন যে, কর কেন্দ্র বেশি পায়। তাই তাদের ক্ষতি কম।
বস্তুত, পেট্রল-ডিজ়েলের দাম ১০০ টাকার আশেপাশে ঘোরাফেরা করলেও এর মধ্যে তেলের প্রকৃত দাম ৫০ টাকার মতো। ডিলারদের ৩-৪ টাকা কমিশন বাদ দিলে বাকিটা কেন্দ্রের শুল্ক এবং রাজ্যের যুক্ত মূল্য কর। এর মধ্যে এত দিন কেন্দ্র পেট্রল থেকে প্রতি লিটারে ৩২ টাকা ৯০ পয়সা উৎপাদন শুল্ক আদায় করত। ডিজেলে নিত ৩১ টাকা ৮০ পয়সা। বৃহস্পতিবার থেকে পেট্রলে ৫ টাকা এবং ডিজেলে ১০ টাকা হারে উৎপাদন শুল্ক কমানোয় এই শুল্ক কমে হয়েছে প্রতি লিটার পেট্রলে ২৭.৯০ টাকা, ডিজেলে ২১.৮০ টাকা। তবে কংগ্রেস জানিয়েছে, মোদী সরকার আসার আগে পেট্রলে শুল্ক ছিল ৯.৪৮ টাকা, ডিজেলে ৩.৫৬ টাকা।