অম্বেডকরের মূর্তির সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভ। — নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভায় মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখাল শাসকদল তৃণমূলও। সভাকক্ষের বাইরে বিআর অম্বেডকরের মূর্তির নীচে জড়ো হন তৃণমূলের বিধায়ক এবং মন্ত্রীরা। তাঁরা ধর্নায় বসেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এবং নরেন্দ্র মোদীকে সাবধান করে একের পর এক স্লোগান ওঠে। দু’ঘণ্টা ধরে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলার কথা।
বুধবার কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ধর্মতলায় বঙ্গ বিজেপির সমাবেশে তাঁর হাজির থাকার কথা। শাহের সেই সমাবেশের এক দিন আগে বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকেই হাতিয়ার করল তৃণমূল। বিধানসভায় মঙ্গলবার সাসপেন্ড হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে স্পিকারকে অসম্মান করার অভিযোগ উঠেছে। গোটা শীতকালীন অধিবেশন থেকেই শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে চাপে রাখতেই তৃণমূলের বিক্ষোভ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিধানসভার অধিবেশনে সংবিধান দিবস নিয়ে আলোচনা শেষ হওয়ার পর বিকেল ৩টে নাগাদ অম্বেডকরের মূর্তির নীচে জড়ো হয় তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকায় কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে একাধিক স্লোগান তোলেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত তৃণমূলের এই ধর্না চলবে।
বুধবার শাহের সভার দিনও বিধানসভায় বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের। কালো পোশাক পরে তৃণমূল বিধায়কেরা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিষয়টিই তুলে ধরবেন বলে জানানো হয়েছে। তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘কালো পোশাক পরে কাকে বিক্ষোভ দেখাবেন? কালো পোশাক পরে কি নিজেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাবেন? কারণ, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রতিনিধি তো আর থাকবে না!”