প্রতীকী ছবি
স্বামী তৃণমূল নেতা কুরবান শা’কে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। গত তিন-চার মাস ধরে পলাতক। এমন পরিস্থিতিতে শারীরিক অসুস্থতা ও ব্যক্তিগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে পঞ্চায়েতের সদস্য থেকে পদত্যাগ করতে চেয়ে বিডিও’কে চিঠি দিলেন স্ত্রী।
কুরবান-হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তথা তৃণমূল নেতা শীতল মান্না এখনও ফেরার। শীতলের স্ত্রী কাকলি মান্না মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য। সম্প্রতি সেই পদ থেকে তিনি অব্যহতি চেয়েছেন পাঁশকুড়ার বিডিও’র কাছে। কাকলি বলেন, ‘‘শারীরিক অসুস্থতা এবং ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আমি পঞ্চায়েতে যেতে পারছি না। কাজকর্মও ঠিক মত দেখাশোনা করতে পারছি না। তাই আমি পদত্যাগ করতে চেয়েছি।’’
কাকলির আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় শুনানির জন্য তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছেন পাঁশকুড়ার বিডিও ধেন্দুপ ভুটিয়া। পাঁশকুড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতিতে বিডিওর উপস্থিতিতেই কাকলির আবেদনের শুনানি হবে। বিডিও ধেন্দুপ বলেন, ‘‘মাইশোরার রাজশহর ১৪ নম্বর সংসদের পঞ্চায়েত সদস্য কাকলি মান্না পদত্যাগ করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। আগামী কাল তাঁকে শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।’’
গত অক্টোবরে কুরবানের খুনের কিছুদিন পরেই গা ঢাকা দিয়েছিল শীতল। পুলিশি তদন্তে সামনে আসে, শীতল কুরবানের আততায়ীদের মাইশোরা এলাকায় থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। তাতে সাহায্য করেছিল শ্যামবল্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মেহাদি ওরফে কালু। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলেন শীতলের স্ত্রী কাকলি। কিন্তু কুরবান খুনে শীতলের নাম জড়ানোর পর থেকে মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েতে তাঁকে একদিনও দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। ফলে রাজশহর এলাকায় পঞ্চায়েতের কাজ অনেকটাই থমকে গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এর মধ্যে কাকলির পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।
অবশ্য কাকলির ওই ইচ্ছাপ্রকাশের পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। স্থানীয় সূত্রের খবর, মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হল নিহত কুরবানের স্ত্রী সাবানা বানু খাতুন। ফলে তাঁকে খুনে স্বামীর নাম জড়ানোয় কাকলির পক্ষে মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হিসাবে কাজ করা কার্যত কঠিন হচ্ছিল বলেই মনে করছেন তৃণমূলের একাংশ।